ক্রাইমবার্তা রিপোট:প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) একেএম নুরুল হুদা বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশ নেয়ার ক্ষেত্র তৈরি করব। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি।’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে সুষ্ঠুভাবে কয়েকটি নির্বাচন সম্পন্ন করেছি। এ মাসে আরও কয়েকটি নির্বাচন রয়েছে। সেগুলোও যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সে প্রস্তুতিও রয়েছে।’
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দুটি ওয়ার্ডে স্মার্ট কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন। নগরীর সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সিইসি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে নির্বিঘ্নে আসতে পারে, আইনশৃংখলা বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেট যারা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাববেন তারা যাতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সর্বোপরি ভোট দিয়ে ভোটার যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন সেই পরিবেশ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
মাগুরার মতো বিতর্কিত নির্বাচন হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তেমন হবে বলে মনে হয় না। কারণ সব দল অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন পরিস্থিতি আর তেমন হবে না। নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দিয়ে নুরুল হুদা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যেসব ইস্যু নিয়ে আমাদের আলোচনা দরকার, সেগুলো নিয়ে কথা বলতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।’
‘তবে কিভাবে রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ হবে তা নিয়ে নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করব’ যোগ করেন তিনি।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ৱকুসিক নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের আপাতত প্রয়োজন নেই। যদি আমাদের কাছে প্রয়োজন মনে হয় তাহলে সেনাবাহিনী আসবে। এজন্য তাদের (সেনাবাহিনী) প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশনের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) উইংয়ের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম, উপ-পরিচালক আবদুল বাতেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিকের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দেন সিইসি।