ক্রাইমবার্তা রিপোট:পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় যৌতুকের দাবিতে নুপুর রায় (২২) নামের এক গৃহ বধূকে শিকল দিয়ে বেধে নির্যাতন করেছে তার স্বামী ননী মন্ডল ও দেবর সুব্রত মন্ডল। রোববার সন্ধার পরে সরেজমিন ভান্ডারিয়া পৌরসভার কারিকর পাড়ার ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি সংলগ্ন একটি ঘরে গিয়ে দেখাযায় মোটা শিকল দিয়ে তার পায়ের সাথে তালা বদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
এলাকাবাসি জানিয়েছেন, পিতার বাড়ি থেকে স্বামী ননী মন্ডলকে যৌতুকের টাকা এনে দিতে না পাড়ায় বিভিন্ন সময় তাকে শারিরীক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। গৃহবধূর শ্বাশুরী ও দেবরের হাত থেকেও সে রেহাই পাইতো না। জানা গেছে ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর উপজেলার পালগোপালপুর গ্রামের মৃত জিতেন রায়ের মেয়ে নুপুর রায়ের সাথে তিন বছর আগে ভান্ডারিয়ার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কারিকর পাড়ার মৃত ভুবন মন্ডলের ছেলে ননী মন্ডলের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহে সময় তাকে স্বর্ণালংকারসহ নগদ অর্থ যৌতুক হিসেবে দেয়া হয়েছিল। পিতা হারা বোনকে তার ভাই ধার দেনা করে যৌতুক দিয়ে ছিল ভগ্নীপতি ননী মন্ডলকে। বিবাহের এক বছর যেতে না যেতেই বিভিন্ন সময় স্বামীর আবদার পূরণ করতে ভাইয়ের কাজথেকে যৌতুকের টাকা এনে দিতে হয়েছে।
সম্প্রতি ননী তার ভাই ও মা আবারো নুপুরের ভাইয়ের কাছথেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। ভাইয়ের অভাবের সংসার থেকে টাকা এনে না দিতে পারায় রোববার সকালে তাকে শারিরীক ভাবে নির্যাতন করা হয়। এ নির্যাতনের কথা প্রতিবেশীদের কাছে যাতে নালিশ করতে না পারে সে জন্য পায়ে শিকল পড়িয়ে বেধে রাখা হয়। এক পর্যায় নুপুর পায়ে শিকল পড়া অবস্থায় ছুটে এসে স্থানীয় ক্লাবে আশ্রয় নেয়। নুপুর এক কন্যা সন্তানের জননী।
এলাকাবাসী এ ঘটনায় পুলিশকে খবর দিলে ভান্ডারিয়া থানার এস.আই জাকির ও এস. আই সোহেল গিয়ে গৃহবধূ নুপুরের পায়ের শিকল খুলে দিয়ে তার স্বামীর চাচতো ভাই অমলের জিম্মায় রেখে আসেন। তবে এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ হলে নির্যাতন করীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।