কুষ্টিয়া শহর থেকে বিশ্বনাথকে আটক করে মডেল থানায় নেওয়া হয়।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসানের ভাষ্য, ওই নারী সাংবাদিকের পাঠানো ই-মেইল পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চালানো হয়। ওই নারী সাংবাদিক ই-মেইলে উল্লেখ করেছেন, রাতের বেলায় মদ্যপ অবস্থায় হোটেল মালিক তাঁর (নারী) দরজায় ধাক্কা দেন এবং মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দেন। এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন।
এসপি আরও বলেন, হেনস্তা করার অভিযোগে মামলা হচ্ছে। বিকেলের মধ্যে ওই বিশ্বনাথকে আদালতে নেওয়া হবে।
এর আগে ওই নারী সাংবাদিক জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে ই-মেইলে একটি অভিযোগ পাঠান। তিনি মার্কিন নাগরিক এবং ফ্রিল্যান্স ফটো সাংবাদিকতা করেন।
জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া অভিযোগ এবং ওই সাংবাদিকের বাংলাদেশি দুজন বন্ধু ও পুলিশ সূত্র জানায়, ৫ মার্চ কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ায় আবাসিক হোটেল ‘খেয়া’য় একটি কক্ষ ভাড়া নেন মার্কিন ওই ফটোসাংবাদিক। ওই দিন রাত একটার দিকে হোটেলের মালিক বিশ্বনাথ সাহা মদ্যপ অবস্থায় তাঁর কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। একই সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন। দরজা না খোলায় বিশ্বনাথ হোটেলের রেজিস্ট্রার থেকে সাংবাদিকের মুঠোফোন নম্বর নিয়ে বারবার ফোন করতে থাকেন। ভীত হয়ে কুষ্টিয়ায় এক বন্ধুকে ফোন করেন ওই সাংবাদিক। রাতেই তাঁকে হোটেল থেকে উদ্ধার করেন ওই বন্ধু।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হোটেল মালিক বিশ্বনাথ সাহা গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই রাতে তিনি হোটেলে গিয়েছিলেন। সে সময় হোটেলে একটি অনুষ্ঠান হচ্ছিল। উচ্চ শব্দের কারণে ওই নারী উত্তেজিত হয়ে যান। আমি পরিচয় দিলে তিনি মুঠোফোন নম্বর নিয়ে কক্ষে চলে যান।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাড়ি ফেরার সময় ওই নারীর ফোন পেয়ে আবার হোটেলে ফেরেন তিনি। কিন্তু নারীর কক্ষে গিয়ে নক করলেও তিনি দরজা খোলেননি। এর বেশি কিছু হয়নি।’