ক্রাইমবার্তা রিপোট:সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর স্ত্রীসহ তিনজনকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে তারা খালাস চাইলে তাদের আবেদনও বিবেচনা করতে বলেছেন আদালত।
তারা হলেন- সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের স্ত্রী নাসরিন খান, তার পুত্র ফয়সাল মোরশেদ খানের বধূ শ্যামা সেহজিন খান, বর্তমান পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর স্ত্রী তাসমিমা হোসেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের স্ত্রী শাহিদা কামাল, বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস দুলুর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আকতার কল্পনা, এমএ কাইয়ুমের স্ত্রী শামীম আরা বেগম ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের ছেলে শামীম ইসলামের বিরুদ্ধে করা মামলা নিম্ন আদালতে চলবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো ছয় মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।
দুদকের পক্ষে করা এক আবেদনের নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এসব আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
দুদকের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম ও আমিনুল হক হেলাল।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের বিগত সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে এদের বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন। উচ্চ আদালতের আদেশে এসব মামলা স্থগিত ছিল। পরে দুদক এসব মামলা সচলের উদ্যোগ নেয়।
আইনজীবী এহসানুল করিম জানান, তাসমিমা হোসেন, নাসরিন খান, শ্যামা সেহজিন খানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের পক্ষ থেকে করা মামলায় তাদের স্বামীরাও আসামি ছিলেন। তাদের স্বামীরাই ছিল এসব মামলার মূল আসামি। তবে তারা হাইকোর্ট থেকে খালাস পেয়েছেন। তাই স্ত্রীদেরও খালাসের বিষয়টি বিবেচনা করতে আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এছাড়া বাকি আসামিদের মামলার কার্যক্রম চলবে বলেও বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।