ভুল রিপোর্টে ক্যারিয়ার শেষ রাসেলের

ক্রাইমবার্তা রিপোট:সৈয়দ রাসেল, বাঁ-হাতি মিডিয়াম পেস বলে সুইং দিয়ে মাতিয়েছিলেন সবাইকে। কিপটে বোলার হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।

২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে অভিষেক হয় তার।

বাংলাদেশের হয়ে ছয় টেস্টে নিয়েছেন ১২ উইকেট। ইকোনমি ৩.৯৩। চমক দেখিয়েছিলেন ওয়ানডেতে। ৫২ ওয়ানডেতে ৬১ উইকেট নিলেও ছিলেন মিতব্যায়ী বোলারদের একজন। ইকোনমি রেট ছিল মাত্র ৪.৬৩।

২০০৭ বিশ্বকাপের ভারত বধে ছিলেন মাশরাফির পার্শ্বনায়ক। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৬৬ ম্যাচে নিয়েছেন ১৮৫ উইকেট। কিপটে বোলিং দিয়ে নজর কেড়েছিলেন সবার। মাত্র ২.৬৩ এর ইকোনমি রেটটা যে নজর কারার মতই ছিল।

কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেল ২০১০ সালের পরেই জাতীয় দল থেকে বাদ পরেন। চালিয়ে যান ঘরোয়া ক্রিকেট। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে কাঁধের ইনজুরির কারণে ছিটকে যান ২০১৫ সালে। দুই বছর পর এসে জানতে পারলে তেমন বড় কোন ইনজুরিতেই পরেননি।

অ্যাপোলো হসপিটালে এমআরআই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, তার চারটি টেন্ডন ছিড়ে গেছে। কিন্তু মুম্বাই এ গিয়ে পরীক্ষা করে দেখলেন ফল একদম ভিন্ন। কাঁধ শতভাগ সুস্থ। একটি ট্যান্ডন কিছুটা শুকিয়ে গেছে আর সেটা থেরাপি নিলে ৩/৪ সপ্তাহেই ঠিক হয়ে যাবে।

 রাসেলের ফেসবুক স্ট্যাটাস

সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক স্ট্যাটাসে হারিয়ে যাওয়া দুটি বছরের জন্য আক্ষেপ করেন তিনি। বলেন, ‘বাংলাদেশ অ্যাপোলো হাসপাতালের এমআরআই রিপোর্ট বলে আমার শোল্ডারের চারটা টেন্ডন (শিরা) ছেড়া। আর ভারতের (মুম্বাই) হাসপাতালের এমআরআই রিপোর্ট বলে আমার শোল্ডার ১০০ ভাগ ঠিক। শুধু একটা টেন্ডন একটু শুকিয়ে গেছে। যেটা থেরাপিস্ট দ্বারা ঠিক করা সম্ভব ২/৩ সপ্তাহে।

এক ভুল রিপোর্ট কেড়ে নিলো ক্রিকেট ক্যারিয়ারের দুটি বছর।

তবে ব্যাপার না, আমি খুব শিগগিরই ফিরে আসবো…।’

Check Also

‘পাকিস্তান দলে প্রত্যেক ক্রিকেটারই অধিনায়ক’

টি-টোয়েন্টি সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পেরে ওঠেনি পাকিস্তান। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচ পণ্ড হয়, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।