ক্রাইমবার্তা রিপোট: নাগরিকত্ব আইন ২০১৬-র একটি খসড়া অনুমোদনের আইন ও চুক্তি মানুষের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। তিনি বলেন, মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করে এবং ন্যাচারাল জাস্টিস ধ্বংস করে ক্ষমতাসীনদের অপশাসন প্রতিষ্ঠিত করতেই নাগরিকত্ব আইন করা হচ্ছে।
নাগরিকত্ব আইন ন্যাচারাল জাস্টিস ‘ন্যায়বিচারের ধারণা, আন্তর্জাতিক আইন ও বাংলাদেশের সংবিধানের পরিপস্থি বলে অভিযোগ করেন তিননি। এ আইনে মানুষের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। সুতরাং এ আইন প্রযোজ্য নয়- বলেন মঈন খান।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সেন্টার ফর ন্যাশনালিজম স্টাডিজ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
‘নাগরিকের নিরাপত্তা ও নাগরিকত্ব আইন’ শীর্ষক এ সভায় তিনি বলেন, বাংলাদেশে দ্বৈত নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে মানুষ না জেনে, না শুনে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। কারণ এ আইন অধিকার জরণ করেছে। এ আইন পরস্পর পরিপন্থি।
গত বছরের ১ ফেব্র“য়ারি এই আইনের খসড়ায় প্রাথমিক অনুমোদন দেয় মন্ত্রীসভা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব আইনটি আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে ভেটিংয়ের জন্য।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মঈন খান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দ্বৈত নাগরিকের প্রবর্তক ছিলেন। সুতরাং উনার দেখা পথ ধরে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হবে। এবং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে। কোন কালা কানুন মানুষকে দমিয়ে রাখতপারবে না বলেও সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
নাগরিকত্ব আইন মানুষের অধিকার খর্ব করার জন্য। এ আইন নতুন করে কেনো আবার মানুষে কাছে তুলে ধরা হলো- সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখেন বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার মীর হেলালের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ড. সুকমল বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।
Check Also
ঘোনা ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন
আবুল হোসেন সদর প্রতিনিধি : ঘোনা ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ …