সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুল জলিল হার্ডএ্যার্টাকে মারা গেছেন। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত ১২ মার্চ তিনি চিকিৎসার জন্যে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি ৪ পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন। তিনি বছর আগে তাঁর স্ত্রী ইন্তেকাল করেন। স্বাধীনতার পরে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন। সাতক্ষীরা অধ্যাতœীক ধর্মীয় নেতা বার বার নির্বাচিত এম পি আলহাজ্ব কাজী শামসুর রহমানের সময়ে তিনি সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করে। ১৯৮১,৮২,৮৩ ও ৮৪ সালে তিনি সাতক্ষীরা জামায়াতের সিপাহশালার ছিলেন। কাজী শামসুর রহমান ছিলেন জেলা আমীর আর তিনি ছিলেন সেক্রেটারী। তার সময়ে গোটা জেলাতে জামায়াতের ব্যাপক সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। পরে জেলার সবকটি আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত জয়লাভ করেন। এধরণে নেতার মৃত্যুতে গোটা জেলাতে দলটির কর্মীসমার্থকদের মধ্যে নিরবতা বিরাজ করছে। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি জামায়াতে ইসলামীর রোকন ছিলেন।
তাঁর ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা জেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দ। শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তারা।
এক যৌথ শোক বার্তায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর হাফেজ মাওলানা রবিউল বাশার,সেক্রেটারী নুরুল হুদা বলেন, আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুল জলিলের ইন্তেকালে আমরা শোকাহত। আল্লাহ উনাকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন ও তাঁর পরিবারবর্গকে এই শোক সইবার শক্তি দিন। এছাড়া শোক প্রকাশ করেছেন,সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ওবায়দুল্লাহ,সেক্রেটারী ওমর ফারুক সহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেষার মানুষ। আমীন।-
Check Also
আশাশুনিতে টঙ্গী ইজতেমায় হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।ঢাকার টঙ্গীত ইজতেমা-মাঠে নিরীহ মুসল্লিদের উপর উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের বর্বরোচিত হামলা ও পরিকল্পিত …