ক্রাইমবার্তা রিপোট:গাজীপুর সংবাদদাতাঃ গাজীপুরে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে গার্মেন্টস কর্মী মো. নিরু মিয়া ওরফে বিজয় (২৬) হত্যা মামলায় এক যুবকের যাবজ্জীবন করাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আদালত তাকে ১০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১মাসের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন।
গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম এনামুল হক বুধবার দুপুরে আসামির উপস্থিতে ওই রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত মো. ফরহাদ হোসেন ওরফে মারুফ (৩০), গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বারবৈকা এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে। মামলায় অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় মারুফের ভাই সোহরাব হোসেন (২৮) ও শাহনাজ বেগমকে (৩৫) আদালত খালাস দিয়েছেন।
গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, বারবৈকা এলাকার প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের ছেলে বিজয়ের কাছ থেকে একই এলাকার ফরহাদ স্ট্যাম্পের মাধ্যমে কয়েকদিনের জন্য ৫০হাজার টাকা ধার নেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ওই টাকা পরিশোধ না করায় বিজয় ওই টাকার জন্য ফরহাদকে একাধিকবার তাগাদা দেন। এনিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বার বার টাকার জন্য তাগাদা দেয়ায় ফরহাদ ক্ষিপ্ত হয়ে বিজয়কে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দেয়। পরে ঘটনাটি বিজয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান। ২০১২সালের ১০ মে সকাল ১১টার দিকে ফরহাদ তার ভাই সোহরাব ও বোন শাহনাজ বেগমকে সঙ্গে নিয়ে বিজয়দের বাড়ি যায় এবং স্ট্যাম্পটি ফেরত দিয়ে টাকা নেয়ার জন্য তাদের সঙ্গে (আসামিদের) বাসায় যেতে বলেন। এসময় বিজয় স্ট্যাম্পসহ তাদের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এর দুইদিন পর স্থানীয় মো. কফিল উদ্দিনের বাসার পশ্চিমে একটি ডোবায় বিজয়ের লাশ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে নিহতের মা নিলুফার বেগম ওই বছরের ১৩মে জয়দেবপুর থানায় বাদি হয়ে মামলা ওই তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জয়দেবপুর থানার এআই এসএম কামরুজ্জামান তদন্ত করে ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে তাদের নামে অভিযোগপত্র জমা দেন।
১১জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ দীর্ঘ শুনানীশেষে আদালত সোহরাব হোসেন ও শাহনাজ বেগমকে মামলা থেকে বেকসুর খালাস ও ফরহাদকে দন্ড দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে পিপি মো. হারিছ উদ্দিন আহম্মদ এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ার হোসেন ওই মামলাটি পরিচালনা করেন।