ক্রাইমবার্তা রিপোট:পারিবারিক বিরোধ মীমাংসা করে দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা রিসোর্টের একটি কক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মাকছুদুর রহমান মিল্টন সিদ্দিকী নাগবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ওই গৃহবধূকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
নির্যাতিত ওই গৃহবধূ জানান, শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মিল্টন সিদ্দিকীর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন শ্বশুর জোয়াদ আলী। ওই বিরোধ নিষ্পত্তি করে দেয়ার কথা বলে মনির নামে এক ছেলেকে দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে পাঠান তাকে। ওই ছেলে কৌশলে তাকে এলেঙ্গা রিসোর্টের একটি কক্ষে নিয়ে যায়।
তিনি জানান, সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত চেয়ারম্যান মিল্টন তাকে ঝাপটিয়ে ধরে ধর্ষণ করে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান মিল্টন নিজেই তাকে মোটরসাইকেলযোগে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
নাগবাড়ী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য আ. হালিম জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান মিল্টন সিদ্দিকীর এটি প্রথম ঘটনা নয়। এর আগেও তিনি একাধিকবার নারীসহ জনতার হাতে আটক হয়েছে। একাধিকবার তার বিরুদ্ধে গ্রাম্য সালিশও হয়েছে।
কালিহাতী থানার ওসি খ. আখেরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় ইউপি চেয়ারম্যান মিল্টন ও তার সহযোগী মনিরের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম বলেন, নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য মামলাটি টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) দেয়া হয়েছে।