ক্রাইমবার্তা রিপোট: ১৬ মার্চ ২০১৭,বৃহস্পতিবার,বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ স্থগিত চেয়ে দুদকের করা আবেদনের ওপর শুনানি এক সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।
অাজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, হাইকোর্টের আদেশ আমরা এখনো পাইনি। তাই সময় আবেদন করেছি। এরপর আদালত এক সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেছেন।
এর আগে গত ১২ মার্চ মামলা স্থগিতে হাইকোর্টের আদেশের ব্যাপারে নো-অর্ডার দিয়ে তা শুনানির জন্য ১৬ মার্চ দিন নির্ধারণ করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
গত ৭ মার্চ বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচার মো: খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদার নাইকো মামলা স্থগিতের আদেশ দেন। মামলার আরেক আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিষয়ে যে রুল শুনানি চলছে, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন আদালত।
গত ১ ডিসেম্বর মওদুদের নাইকো মামলার কার্যক্রম ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে রুল দেন হাইকোর্ট। মওদুদদের আইনজীবীরা জানান, নাইকোর সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি নাইকো-বাপেক্স ও পেট্রো বাংলার মধ্যে ওয়াশিংটনের সালিশী আদালতে দুর্নীতির বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে। চলতি বছর ১৯ জুলাই সালিশী আদালত এক আদেশে সেখানে বিষয়টি নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের আদালতে এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলেছে।
পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে দুদক গত ৭ ডিসেম্বর লিভ টু আপিল করলে আপিল বিভাগ ১৯ জানুয়ারির মধ্যে রুল নিস্পত্তির নির্দেশ দেন। এরপর সেই রুল শুনানিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বিব্রত বোধ করায় শেখ আবদুল আওয়ালের বেঞ্চেই সেই রুলের উপর এখন শুনানি চলছে। একই যুক্তিতে খালেদা জিয়াও মামলার কার্যক্রম স্থগিতে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। যেখানে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্স’র সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।