ক্রাইমবার্তা রিপোট:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আগে তিস্তা পানিবন্টন চুক্তি করতে হবে, তারপর অন্যকিছু। আর ভারতের সাথে বাংলাদেশের কি চুক্তি হবে সেটা দেশের জনগণ জানার অধিকার রাখে। এটাও পরিষ্কার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরের সম্ভাব্য চুক্তি প্রসঙ্গে গয়েশ্বর এই মন্তব্য করেন। আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভ্আিইপি লাউঞ্জে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।
বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম নামে একটি সংগঠন।
সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথর বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরকালে নাকি সেদেশের সাথে চুক্তি করবেন। কিন্তু কিসের চুক্তি? আগে তিস্তা চুক্তি করতে হবে। তারপওে অন্যকিছু। এটা ভারতকে স্পষ্টভাবে বাংলাদেশ সরকারকে বলতে হবে।
সরকারকে অনির্বাচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যদিও অবৈধ কিন্তু সংশ্লিষ্টরা তো সেখান থেকে বেতন ভাতা নেন। সংসদ যদি আড্ডা খানাও হয়ে থাকে তবে সম্ভাব্য চুক্তির বিষয়গুলো আলোচনা হওয়া উচিৎ। কারণ দেশের জনগণের সেগুলো জানার অধিকার আছে।
মরহুম দেলোয়ার হোসেনকে ভালো সংগঠক আখ্যা দিয়ে গয়েশ্বও বলেন, তার মতো ভালো সংগঠকের অভাব রয়েছে। আমরা আজো ওয়ান ইলেভেনের নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি। তিনি সেসময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে বলিষ্ঠ নেতৃত্বে শক্তভাবে পরিচালনা করতেন। তার প্রয়োজনীয়তা আজো তীব্র থেকে তীব্রতর।
সম্প্রতি ওয়ান ইলেভেনের সরকারের নেতৃত্বে থাকা ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের অর্থ ফেরত দেয়া প্রসঙ্গে আদালত যে রায় দিয়েছে তাকে ভালো বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।