ক্রাইমবার্তা রিপোট:সীমান্ত এলাকার এক থানায় তিন তরুণীকে নিয়ে আসেন পাঁচ যুবক। যুবকদের অভিযোগ, ওই তিন তরুণীকে পাচার করে দেওয়া হচ্ছিল। যুবকদের দাবি, তাঁরা ওই তরুণীদের উদ্ধার করেছেন। এ ব্যাপারে এখন তাঁরা মামলা করতে এসেছেন। আসামিদের নামও জানেন যুবকরা!
বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে বেরিয়ে আসে অন্য তথ্য। নির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির নামে পাচারের মামলা করাই ছিল ওই পাঁচ যুবকের উদ্দেশ্য। আর ওই তিন নারীও তাঁদের সঙ্গেই জড়িত!
গতকাল বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই আটজনকেই আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, এটা একটা প্রতারক চক্র। মামলা করাসহ বিভিন্ন হয়রানি করে অর্থ আদায়ই এ চক্রের উদ্দেশ্য। তবে ওই তিন তরুণীকে ভারতে পাচার করে দেওয়া হতো বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ শেখ জানান, তিন তরুণীকে পাচারের অভিযোগে অপর কয়েক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করতে আসে যুবকরা। ওই তিন তরুণীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা কুমিল্লা ও ফেনীর বাসিন্দা। তিনজনই চট্টগ্রামে কাজ করতেন।
আর আটক পাঁচ যুবক হলেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইপুর গ্রামের শাকিরুল কবির ওরফে ইকবাল (৩২), নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বারদী গ্রামের মাহমুদুল হাসান সুমন (২৫), ঢাকার শাহজাহানপুরের মো. হাবিবুল্লাহ (২২), শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার কানাইকাটি গ্রামের আক্কাস আলী বাবু (২৮) ও শরিয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার কানাইকাটি গ্রামের মো. ইব্রাহিম (২৪)।
এমদাদ শেখ জানান, যুবকরা যাদের নামে মামলা করতে আসে তাঁরাও কেউ সাতক্ষীরা বা ওই সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা না। চট্টগ্রাম অঞ্চলেরই বিভিন্ন ব্যক্তিকে আসামি করে যুবকরা মামলাটি করতে চেয়েছিল। এতেই সন্দেহ জাগে পুলিশের। এরপরই শুরু হয় প্রশ্ন করা। এরই এক ফাঁকে জানা যায়, ওই তিন তরুণীকে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসেন যুবকরা। তাঁরা গতকাল বুধবার সাতক্ষীরা সীমান্তের দমদমা গ্রামে ছিলেন।
ওসি এমদাদ জানান, এসব যুবকের কাজই মামলা করে বা ভয় ভীতি প্রদর্শন করে অর্থ আদায় করা। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।