ক্রাইমবার্তা রিপোট:বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।শুক্রবার গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা সদর বোনারপাড়ায় এঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে আলোচনা সভা শুরু হয়। আলোচনা চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনের পক্ষের নেতাকর্মীরা ফুল দেওয়ার জন্য মিছিল নিয়ে সমবেত হন।
এ সময় ডেপুটি স্পিকার গ্রুপের নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রথমে বাকবিতণ্ডা ও পরে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপ রামদা ও লাঠিসোঠা নিয়ে সংঘর্ষ লিপ্ত হন।
বোনারপাড়া রেল স্টেশন এলাকা ও বাজার এলাকায় দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ বাবু জানান, হামলায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিরুল আলম স্বপন, খায়রুল মিয়া, হারুনুর রশিদ হিরু, বাহারুল আলম, বিপ্লব কুমার আহত হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে রিপন গ্রুপের অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দাবিদার ওয়ারেছ আলী প্রধান অভিযোগ করেন, তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর মুর্যালে ফুল দিয়ে ফেরার সময় ডেপুটি স্পিকারের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তিনিসহ তার পক্ষের আশরাফুল আলম আজাদ, মুশফিকুর রহমান সুজন ও মোজাহার আলী আহত হন।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে কিছুটা দূরে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জ্বল কুমার ঘোষ জানান, অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা অনুষ্ঠানে প্রভাব ফেলেনি।
এ ব্যাপারে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া অভিযোগ করেন, আলোচনার শেষ পর্যায়ে কিছু উচ্ছৃংখল লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এসময় উপস্থিত জনতা তাদের প্রতিরোধ করে।
কিন্তু পরে তারা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে দলের নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।