বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে শ্রমিকের অধিকারের সাথে থাকতেন: ড. কামাল হোসেন

ক্রাইমবার্তা রিপোট: সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আশুলিয়্য়া গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরির বৃদ্ধির আন্দোলন যেভাবে দমন করছে তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থি। মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় দেশ স্বাধীন করেছেন। সেখানে কৃষক শ্রমিকদের মুক্তির কথা ছিল। সে দেশে শ্রমিকরা ন্যয্য মজুরির জন্য আন্দোলন করতে গেলে শ্রমিকদের নীপিড়ন করা হয়। আজ বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এই শ্রমিকদের সাথে থাকতেন।25

শুক্রবার সকালে গুলশানের একটি মিলনায়তনে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের বার্ষিক সম্মেলনে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি এডভোকেট মন্টু ঘোষের সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রবীন শ্রমিক নেতা জসিম মন্ডল। প্রধান অতিথি ছিলেন সিপিবির সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খান। বক্তব্য রাখেন টিইউসি’র সভাপতি শহিদুল্লাহ চৌধুরী, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সিপিবি নেতা হায়দার আকবর খান রনো, গার্মেন্ট টিইউসি’র কার্যকরি সভাপতি সাদেকুল ইসলাম শামীম, সাধারণ সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম মিন্টু প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালক করেন ইকবাল হোসেন।

কামাল হোসেন বলেন, আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। বঙ্গবন্ধু সশরীরে না থাকলেও তিনি স্বাধীন দেশে আমাদের মাঝে আছেন। তাঁর নির্দেশিত পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। শ্রমিকরাও তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সফলকাম হবে। মনজুরুল আহসান খান বলেন, আজ শ্রমিকদের মজুরির বৃদ্ধির আন্দোলনকে দমন করা হলেও একদিন লাল ঝান্ডার শ্রমিকরা এর জবাব দিবে। লাল পতাকার শ্রমিকরা একদিন রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করবে।

ন্যুনতম মজুরি ১০ হাজার টাকা। এবং মোট মজুরি মজুরি ১৬ হাজা টাকা করার দাবি জানান গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ কাজী রুহুল আমিন। তিনি বলেন, গার্মেন্ট শ্রমিকরা দিন রাত পরিশ্রম করে, আধা পেটে খেয়ে দেশের জন্য বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করছে। শ্রমিকদের অবদানের ফসল দেশের অর্থনৈতিক চাকা ঘুরছে।  আমাদের শ্রমে মালিক শ্রেণি ও তাদের স্বার্থের পাহাদার সমাজের এক শ্রেণির  মানুষ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে।  কিন্তু ন্যায্য মজুরি তো দূরের কথা কোন মতে বাঁচার মত মজুরিও আমরা পাইনা।  মজুরি বাড়ানোসহ কোন দাবির কথা বললেই আমাদের উপরে নেমে আসে সীমাহীন জুলুম-নির্যাতন। শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।  এখনি যদি শ্রমিকদের বাঁচার মত মজুরি  না দেওয়া হয় চড়ামূল্যের বাজারে  আমাদের জীবন অসহনীয উঠবে।

Check Also

প্রত্যেকটা অফিসের কেরানি পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের দোসর : আসিফ মাহমুদ

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।