ক্রাইমবার্তা রিপোট:জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, নব্য জেএমবি এবং তাদের নেটওয়ার্ক কঠোর হস্তে দমন করার জন্য আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক আজ বাসসকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সন্ত্রাসী, নব্য জেএমবি ও জঙ্গিদের নেটওর্য়াক এবং তাদের মদদদাতাদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছি। আইন-শৃংখলা বাহিনী সন্ত্রাসী ও তাদের সহযোগীদের গ্রেপ্তারে ইতিমধ্যে মাঠে কাজ শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, দেশে ইসলামী স্টেট তথা আইএস’র কোন অস্তিত্ব বা তাদের অবস্থানের প্রমাণ আমরা পাইনি।
তিনি বলেন, দেশে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসী বহিনী দেশের মধ্যে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু আইন-শৃংখলা বাহিনীর ‘জিরো টলারেন্স’ তৎপরতার কারণে তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারছে না।
আইজিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সরকার সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদকে সমূলে উৎপাটন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সেই সাথে অন্যান্য অপরাধকেও প্রতিরোধ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার দেশী ও বিদেশীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আইজিপি বলেন, ‘কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তায় বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। তবে সরকার সন্ত্রাসী তৎপরতাকে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির মাধ্যমে কঠোর হস্তে সকল প্রকার সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় আইন-শৃংখলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
শহীদুল হক বলেন, সরকারকে দুর্বল করতে বিভিন্ন মহল সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে মদদ দিচ্ছে। তবে সরকার শক্ত হাতে সকল সন্ত্রাসবাদকে মোকাবেলা করতে সক্ষম হচ্ছে।
তিনি বলেন, আইন-শৃংখলা বাহিনী এখন পর্যন্ত এমন কোন প্রমাণ হাতে পায় নাই, যেখানে দেশী সন্ত্রাসী গ্রুপ বা জঙ্গি গ্রুপের সাথে আইএস’র সম্পর্ক বিদ্যমান।
সূত্র : বাসস