কলারোয়ায় এবি পার্কে ভ্যারাইটিজ শো নামে চলছে অশ্লীল নিত্যে ও জুয়ার আসর” দেখার কেহ নেয়

ক্রাইমবার্তা রিপোট:(সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি)সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এবি পার্কে মেলায় ভ্যারাইটিজ শো নামে চলছে নগ্ন নিত্যে ও রমরমা জুুয়ার আসর। 12দেখার যেন কেহ নেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তাই সুযোগ সন্ধানীরা চালাচ্ছে এই অশ্লীল মেলা। সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্ত চেনা অচেনা মানুষের মুখ ভরে যায় মেলার মিলন মেলা। চারিদিকে শুনা যায় ডিজিটাল মাইকের সাউন্ড। কিছুতেই রাতে পড়াশুনা করতে পারে না এইচ, এস, সি শিক্ষার্র্থীরা। এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুস্থ ধারার নিত্যে দেখনোর পারমিশন নিলেও দলীয় প্রভাবে রাতে চালানো হয় রমরমা জুয়ার আসর। তরুন থেকে বিত্তশালী পর্যন্ত সবাই জুয়ার আসরের কাষ্টমার। ধরাকে সরা মনে করে বেশি টাকার লোভে হারাচ্ছে অর্র্থ। বেড়েছে সমাজে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড। অবৈধ বানিজ্য করছেন এক শ্রেণীর অসাধু রাজনৈতিক আমলারা। মেলাকে কেন্দ্র করে কোন জঙ্গি হামলা হতে পারে এমন আতংক ধর্ম প্রান সাধারণ মুসুল্লীদের মনে। সরেজমিনে মেলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় উপজেলার রায়টা জাহাজ মারি প্রত্যন্ত অঞ্চল বিলের কিছু অংশ জুড়ে গড়ে ওঠেছে এবি পার্ক। সেই পার্কের মালিক আব্দুল বাসার স্থানীয় যুগিখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়ীত্ব পালন করেছেন। সেই সাথে পার্র্কের ভিতরে চলছে মেলার তদাকিতে তিনি। সন্ধ্যা থেকে রাত ১২ টা পর্র্যন্ত চলে ভ্যারাইটিজ শো নিত্যে নামের অশ্লীল ড্যান্স। সাথে বাদ যায়না শরীলে ড্রেজ খোলার পাল্লা। যে যত অশ্লীল নিত্যে দেখাতে পারবে তার তত কদর। পাশাপাশি দুটি ভ্যারাইটিজ প্যান্ডেল থাকায় পাল্লা দিয়ে চালাচ্ছে তাদের অশ্লীল ব্যবসা। প্রতিটি শো তে ৫০টাকা হারে টিকিটি কেটে নিত্যের প্যান্ডেলে ডুকে নাচ গানের অশ্লীল নিত্যে দেখছেন উঠতি বয়সের যুবকরা। তবে বৃদ্ধাসহ সমাজের বিবেকদের মেলার আশ পাশ চোখে দেখা মেলেনি। চলচিত্র সুনাম ধন্য নায়িকাদের নাম ব্যবহার করে মেলায় তাদেরকে করছে হেও প্রতিপন্ন। নিত্যে প্যান্ডেলে গিলে দেখা যায় রাতে অন্য রুপ। সামনে নাচের মঞ্চ থাকলে পিছনে রয়েছে নিত্যে শিল্পীদের ছোট ছোট রুম। ভিন দেশ থেকে আসা এই সব নিত্যে শিল্পীরা মঞ্চে অশ্লীল নিত্যে প্রদর্শন করে উঠতি যুবদের বস করে কাছে নেয়। নিত্যে শেষে মেলার মালিকের সাথে চুক্তি করে ছোট ছোট রুমে নিত্যে শিল্পীরা চালাই অনৈতিক কার্যক্রম। রাত ১২টার পরে শুরু হয় যাত্রা ও জুয়ার আসর। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত উঠতি বয়সের যুবকরা ভিআইপি মাইক্রো এবং মটরসাইকেল চড়ে ছুটে আসেন মেলার জুয়ার আসরে। সামনে গেট দেওয়া থাকলেও গাড়ি রাখার পারর্কিং আছে মেলার পরিত্যক্ত জায়গায়। যাতে করে বুঝতে না পারে কে এসেছে মেলায়। কিন্তু বুঝা যাবে মেলার ভিতরে ডুকলে কতগুলো গাড়ি কারা এসেছে মেলায়। পুলিশ প্রশাসন পাহাড়ায় থাকলেও মানছেন না মেলার আয়োজকরা। একদিকে চলে যাত্রা অন্যদিকে চলে জুয়ার খেলা। জুয়ার প্যান্ডেলে কয়েকটি জুয়ার বোর্ড থাকায় জুয়ারীদের ভীড় চোখে পড়ার মত। ২০০ থেকে শুরু করে লাখ টাকায় বাজী ধরা হয় বোর্ডে। কেহ হয় লাভনীয় আবার কারই আর্থিক ক্ষতি। শুরুতেই যাত্রা সচ্ছ মানের হলেও ভিতরে অশ্লীল। আর খবর পড়–ন ২য় সংখ্যায়, পার্ক মালিক বাসার বলেন, মেলা চল লে কিছুটা অশ্লীলতা হয়। সেদিকে আপনারা মানে (সাংবাদিকরা) কোন নজর দিয়েন না যে সব সাংবাদিকরা আসছে তাদের আমরা আয়োজক কমিটি খুশি করে দিয়েছি আপনাকেও দেব। কোন খবর প্রত্রিকায় লেখার দরকার নেই। যদি লেখেন তাহলে কোন সমস্য হবেনা বলে মনে করেন তিনি। মেলার মাঠ মালিক সানাউল্লাহ মেম্বার বলেন ১৫ দিনের জন্যে স্থানীয় প্রসাশনের কাছ থেকে মেলার অনুমুতি নিয়েছি। গত কয়েকদিন হয়ে গেল কোন প্রকার মেলায় ঝামেলা হয়নি আর কেহ ঝামেলা করবেনা। অশ্লীল নিত্যে ও জুয়ার পারমিশন আছে কিনা এমন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি তিনি। কিন্তু স্থানীয় সূধীজনসহ অবিভাবকরা বলছেন একদিকে হামিদপুর তিনদিন ব্যাপী এবং উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে পবিত্র কুরআনের মাহফিল। আবার  অন্য দিকে পার্কে চলছে মেলার নামে অশ্লীন নিত্যে ও জুয়ার আসর। আগামী মার্চ মাসে শিক্ষার্র্থীদের এইচ, এস, সি পরিক্ষা। মেলার মাইকের কারণে ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই উদ্ধর্তন প্রশাসনের কাছে জোর দাবী করছি যাতে মেলার অশ্লীলতা বন্ধ করে দিয়ে ইসলামের পবিত্রতা রক্ষা করবে। আর ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া করার সুযোগ করে দেবেন।

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।