ক্রাইমবার্তা রিপোট:গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী বহু গোপন অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উগ্রবাদকে উপলক্ষ হিসেবে জনগণের সামনে আনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দেশ আজ ভয়ঙ্কর সহিংস সন্ত্রাসের ছোবলে আক্রান্ত। জঙ্গিদের রক্তাক্ত সংঘাত শুরু হওয়া থেকে সরকার দেশবাসীকে নানা তত্ত্ব কথা শুনিয়ে এসেছে। ঘটনা ঘটার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দোষ চাপিয়ে দেয় অন্যের ঘাড়ে। কিন্তু জঙ্গি নির্মূল তো দূরে থাক সম্প্রতি গত কয়েকদিনে উগ্রবাদীদের সহিংস ঘটনায় মনে হচ্ছে এদের নেটওয়ার্ক আরো বেশি বিস্তৃত হয়েছে।
আজ রোববার সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব বলেন। এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী সরকারের উদ্দেশে বলেন, দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই সরকারের বিভেদ বিভাজন ও প্রতিহিংসার রাজনীতিকে এড়িয়ে মধ্যযুগীয় অন্ধশক্তি জঙ্গিবাদকে দমন করতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে এবং ঢাকার আশকোনা ও খিলগাঁওয়ে আত্মঘাতী জঙ্গিদের কর্মকান্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং জঙ্গি দমনে সরকারের সমন্বয়হীনতা ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য-বিবৃতির তীব্র নিন্দা জানান রিজভী।
ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্ভাব্য চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার সবসময় ভারতকে খুশি করতে তৎপর থেকেছে। কিন্তু ভারত অকৃত্রিম বন্ধুত্বের কথা বলে বাংলাদেশ থেকে একচেটিয়া সুবিধা হাতিয়ে নিলেও বাংলাদেশ পায় লবডঙ্কা।
তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা চুক্তি দেশের জন্য একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। ভারতের সাথে আমাদের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত করতে হলে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গোপনীয়তা বলে কিছু থাকবেনা। আমাদের প্রতিরক্ষা নিয়ে ভারতের সবকিছু জানার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবেনা। শক্তিশালী দেশ হিসেবে ভারত নিয়ন্ত্রকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হবে। তাতে আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন এবং সার্বভৌমত্ব হবে আরো দুর্বল। সুতরাং ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক এদেশের জনগণ কখনোই মানবেনা।
এছাড়া দিনাজপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বখতিয়ার আহমেদ কচিকে পুলিশ বানোয়াট ও রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার করেছে অভিযোগ করে রিজভী অবিলম্বে বখতিয়ার আহমেদের মুক্তি দাবি করেন এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।