ক্রাইমবার্তা স্পোর্টস ডেস্ক:বিশ্বসেরা ‘এমএসএন’ ত্রয়ীর একের পর এক আক্রমণের জবাবে দারুণ লড়াই করল অর্ধেকের বেশি সময় এক জন কম নিয়ে খেলা ভালেন্সিয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনাকে রুখতে পারেনি পয়েন্ট তালিকার নিচের দিকের দলটি। লিওনেল মেসির জোড়া গোলে জয়ের আনন্দে মাঠ ছেড়েছে লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা।
রোববার রাতে কাম্প নউয়ে ৪-২ গোলে জিতেছে লুইস এনরিকের দল। বার্সেলোনার অন্য দুই গোলদাতা লুইস সুয়ারেস ও আন্দ্রে গোমেস।
ঘরের মাঠে ম্যাচের পঞ্চদশ মিনিটে নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট করে বার্সেলোনা। বাইলাইনের কাছে সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে এক ঝটকায় ফেলে দেওয়ার পর গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান লুইস সুয়ারেস। কিন্তু গোলে শট না নিয়ে মেসিকে পাস দেন তিনি। গোলমুখে বল পেয়ে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড।
পরের মিনিটে দুজনকে কাটিয়ে ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে মেসির নেওয়া ট্রেডমার্ক শটও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। উনবিংশ মিনিটে স্পেনের মিডফিল্ডার কার্লো সোলেরের জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন বার্সেলোনার গোলরক্ষক।
তবে বেশিক্ষণ জাল অক্ষত রাখতে পারেননি মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। দানিয়েল পারেহোর কর্নারে বুলেট হেডে ভালেন্সিয়াকে এগিয়ে দেন ডিফেন্ডার মানগালা।
অতিথিদের এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ছয় মিনিট পরেই নেইমারের দ্রুত নেওয়া বুদ্ধিদীপ্ত থ্রোয়িং ফাঁকায় পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে বাঁকানো শটে স্কোরলাইন ১-১ করেন সুয়ারেস।
শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলা সুয়ারেসের নৈপুণ্যে কিছুক্ষণ পরেই এগিয়ে যেতে পারতো বার্সেলোনা। কিন্তু গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে গোললাইনের কয়েক ইঞ্চি দূরে তার বাড়ানো বলে টোকা দেওয়ার মতো কেউ ছিল না।
৪৪তম মিনিটে আবারও রক্ষণ ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার। তাকে পিছন থেকে টেনে ধরায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন মানগালা আর পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। তা থেকেই দলকে এগিয়ে দেন মেসি।
বার্সেলোনার এগিয়ে যাওয়ার আনন্দও স্থায়ী হয়নি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটেই বল জালে জড়ান মুনির এল হাদ্দাদি। সাবেক দলের বিপক্ষে গোল করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেননি এই স্প্যানিয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে মেসির রক্ষণচেরা পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়েও ব্যর্থ হন নেইমার। কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক আলভেস। ওই কর্নারেই মাসচেরানোর পা ঘুরে আসা বল ডান দিকে পেয়ে বিদ্যুৎ গতির শটে আবারও দলকে এগিয়ে দেন মেসি।
এবারের লিগে মেসির এটা ২৫তম গোল। তিন গোল কম নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে সুয়ারেস। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মৌসুমে পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলারের গোল হলো ৪১টি।
পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুটি সুযোগ নষ্ট হয় বার্সেলোনার। ৭১তম মিনিটে মেসির পাস ছয় গজ বক্সের মুখে পেয়েও দুর্বল লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন সুয়ারেস। আর নেইমারের দারুণ ফ্রি-কিক পোস্টে বাধা পায়।
অবশেষে ৮৯তম মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন গোমেস। বাঁ-দিক থেকে নেইমারের বাড়ানো বল অনায়াসে জালে পাঠান পর্তুগালের এই মিডফিল্ডার।
এই জয়ের পর ২৮ ম্যাচে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৬৩। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদ ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে।
বিডি নিউজ