ক্রাইমবার্তা রিপোট: লক্ষ্মীপুরে স্বামী হত্যায় স্ত্রীসহ ৪ আসামি ও পৃথক একটি ধর্ষণ মামলায় আরো একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ১ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. আবুল কাশেম চৌধুরী পৃথক এই দুই মামলার রায় দেন। লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের পিপি জসিম উদ্দিন রায়ের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রায়পুর উপজেলার দেনায়েতপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়ির বাগানে মো. রাব্বিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা নুরুল আমিন পাটওয়ারী বাদী হয়ে রাব্বির স্ত্রী, শ্বশুর, শ্বাশুড়িসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ২৫ নভেম্বর পুলিশ ওই মামলার চার্জশীট আদালতে দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ সোমবার আদালত আসামিদের প্রত্যেককে হত্যাকাণ্ডে দোষী স্বাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ১ বছর করে কারাদণ্ড দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শ্বশুর জয়নাল আবদিন, শ্বাশুড়ী জোসনা আক্তার, স্ত্রী রেজিয়া বেগম ও তাদের স্বজন মোঃ আলম। এরা সবাই রায়পুর উপজেলার শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এদিকে সদর উপজেলার পুর্ব বাঁঙ্গাখা ইউনিয়নে প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণের দায়ে টুটুল চন্দ্র দাস নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন একই আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত টুটুল সদর উপজেলার পূর্ব বাঙ্গাখাঁ গ্রামের মৃত সীতা কান্ত দাসের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৪ এপ্রিল সকালে সদর উপজেলার বাঁঙ্গাখা ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী যুবতীকে পুকুরপাড়ে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে টুটুল। এ ঘটনার পরে একই দিন বিকেলে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় টুটুল দাসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই বছরের জুন মাসে টুটুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ আদালত এ রায় দেন।