ক্রাইমবার্তা স্পোর্টস ডেস্ক:‘ঘুম ভাঙ্গল কারো নরম হাতের চুল টানা খেয়ে। তারপর আমি চোখ খুলতেই আমার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ল। পরম মমতায় বুকে জড়িয়ে নিলাম তাকে। গালে একটা চুমু দিতেই খিলখিল করে হেসে উঠল। আমার মেয়েটা হয়েছে পুরো বাবা ভক্ত।’
মেয়েকে নিয়ে মনের মধ্যে জমিয়ে রাখা ভালোবাসার অনুভূতিগুলো এভাবেই প্রকাশ করেছেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। বাবা-মেয়ের ছোট ছোট খুনসুটিতেই শুরু হয় নতুন দিন। ‘প্রতিদিন সকালে তার অলিখিত নিয়ম হচ্ছে আমার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয়া। এরপর বুকে নিয়ে আদর না করলে শুরু হয় তার চিৎকার চেঁচামেচি, এমনকি সে এই সময় তার মায়ের কাছেও থাকতে চায়না। এক বছরও হয়নি পাকনা বুড়ি কিভাবে এত কিছু বোঝে ভেবে ভেবে মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই।’
গত বছরের ০৫ সেপ্টেম্বর আশরাফুল ও অচির কোলজুড়ে আসে কন্যা সন্তান। তার আগে ২০১৫ সালের ১১ ডিসেম্বর অনিকা তাসলিমা অর্চিকে বিয়ে করেন টেস্টের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান।
জাতীয় দলে না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গে সুখ-দুঃখগুলো শেয়ার করেন আশরাফুল। মাঝে বেশ কয়েকদিন ধরে ফেইসবুকে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে আবারও ফেসবুকে ফিরেছেন আশরাফুল। ফিরেই ভক্তদের উদ্দেশ্যে খানিকটা অভিমানী কণ্ঠে বলেন, ‘অনেক দিন পর ফিরলাম। সবাই কেমন আছেন? মনে হয় আমাকে সবাই ভুলেই গেছে।’
এদিকে সবশেষ রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় মাঠে দেখা গেল আশরাফুলকে। যেখানে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন তিনি। শূন্য রানে আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন আশরাফুল। তবে তিনি ভালো না করলেও তাঁর দল জিতেছে। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে আশরাফুলের দল ১ রানে কালুখালী উপজেলার মৃগী ক্রিকেট একাদশকে পরাজিত করে।
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ২০১৩ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ হন আশরাপুল। ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েও ব্যাট-বলকে বিদায় বলেননি তিনি। ব্যক্তিগতভাবে চালিয়ে গেছেন অনুশীলন। খেলেছেন দেশের বাইরেও। সবশেষ গত বছরের ১৩ আগস্ট নিষেধাজ্ঞার শেকল থেকে মুক্তি পায় আশরাফুল।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয় আশরাফুলের। ৬১ টেস্ট খেলে তাঁর সংগ্রহ ২৭৩৭ রান। এর মধ্যে রয়েছে ছয়টি সেঞ্চুরি ও আটটি হাফ সেঞ্চুরি। আর ১৭৭টি ওয়ানডে ম্যাচে তাঁর রান তিন হাজার ৪৬৮। রয়েছে তিনটি সেঞ্চুরি ও ২০টি হাফ সেঞ্চুরিও।