ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :ব্রিটেনের ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজে হামলার ঘটনার পর সেন্ট্রাল ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে শহরের ছয়টি বাড়িতে রাতভর অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মেট্রোপলিটন পুলিশের সন্ত্রাস-দমন বিভাগের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা মার্ক রৌলি বলেছেন, কয়েকশো গোয়েন্দা পুলিশ রাতভর এই অভিযান চালিয়েছে। লন্ডনের পুলিশ বলছে, হামলাকারী আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের দ্বারা উৎসাহিত হয়ে হামলা চালিয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
মি. রৌলি এর আগে বলেন, হামলাকারীর পরিচয় তারা জানতে পেরেছেন ।
এর আগে মি রৌলি বলেছিলেন, এই হামলার ঘটনা ইসলামপন্থীদের কাজ হতে পারে বলে তারা মনে করছেন। তবে এখন বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের দ্বারা উৎসাহিত হয়ে সে এই হামলা চালিয়েছিল বলে ধারনা করছে পুলিশ। এ নিয়ে এর বিশদ কিছু জানান নি তিনি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে পার্লামেন্ট সদস্যদের উদ্দেশ্যে আজই বিবৃতি দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই হামলাকে অসুস্থ এবং বিকৃত মানসিকতার বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজে এবং পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে চালানো ওই হামলায় হামলাকারীসহ ৫ জন নিহত হয়। এতে আহত হয়েছেন ৪০ জনের মত।
পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে হামলাকারীর গাড়িটি আঁছড়ে পড়ে। ছুরি হাতে হামলাকারী পার্লামেন্টের দিকে দৌড়ানোর সময় নিরস্ত্র পুলিশ সদস্য তাকে বাধা দিলে হামলাকারীর ছুরিকাঘাতে সে নিহত হয়। এরপর অস্ত্রধারী পুলিশের গুলিতে হামলাকারীও প্রাণ হারায়।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার পর ব্রিটেনের প্রতি আমেরিকার সরকারের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। ব্রাসেলসে সন্ত্রাসী হামলার শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়া ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ ক্লদে জাঙ্কার জানিয়েছেন, লন্ডনে এই হামলা তাকে “ভীষণ আবেগপ্রবণ” করেছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এর্দোয়ান বলেছেন, তুরস্ক ব্রিটেনের কষ্টে সমব্যথী। ব্রিটেনে হামলার সময় ফরাসী শিক্ষার্থীরা আহত হওয়ার ঘটনায় তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আইফেল টাওয়ারের সব আলো মধ্যরাতে নিভিয়ে দেয়া হয়।
সূত্র : বিবিসি