ক্রাইমবার্তা রিপোট:লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: রায়পুর উপজেলা যৌতুকের জন্য সালেহা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূকে রবিবার সকালে তাঁর স্বামী পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার দুপুরে তাঁকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সালেহা বেগম ডাকনাম সালেহা। হাসপাতলে খাতায় সেই নামই লেখা হয়েছে সালেহা বেগম। হাসপাতালে বার্ণ ইউনিটের ২ নম্বর শয্যা তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর সারা গা আগুনে ঝলসে গেছে। গলার চামড়া ঝলছে কালো হয়ে গেছে। বুকের সস্তন সহ নাভি পযন্ত্র ব্যান্ডেজ জড়ানো হয়েছে।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: আরওম আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া সালেহা বেগমের শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
এ বিষয়ে সালেহার বাবা আবদুল খালেক মোল্লা বলেন , তাঁদের বাড়ি রায়পুর উপজেলা ১ নং চরআবাবিল গ্রামে ৬ নং ওয়াডের্র মোল্লা বাড়ি। তাদের কন্যা সন্তান সালেহা। সালেহা স্বামী লোকমান গাজী (৩৫) বাড়ি একই উপজেলার চরআবাবিল গ্রামে। প্রায় ১৪ বছর আগে সালেহার সঙ্গে লোকমান গাজী বিয়ে হয়। সালেহা তখন ৫ম শ্রেনীতে পড়তেন। লোকমান গাজী এক জন গামের্ন্টস কর্মী ছিলেন। লোকমান ঢাকায় ব্যাবসা করবে বলে শুশুর বাড়ি থেকে দু দফা ৮০ হাজার টাকা নিয়ে স্ত্রী সালেহাকে সহ ঢাকার উদ্দেশ্যই পাড়ি দেয়। উভয় গামের্ন্টস কর্মী হিসেবে দুই জনেই কাজ করতেন।পরে তারা চাকুরীর করার পর সেখানে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। দীর্ঘ ৮ বছর পর লোকমান কাজীর দেশের বাড়িতে নতুন করে বসত ঘর নির্মাণ সিদ্ধান্ত নেয়। ঠিক ঐ সময় সালেহার কাছ থেকে জমাকৃত ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নেয় লোকমান। ঘর নির্মাণ করার পরও সালেহার ঐ ঘরে স্থান দিলো না তার পাষন্ড স্বামী। এর পরে সালেহা ন্যায় বিচার লক্ষে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারে নিকট লিখিত আকারে একটি অভিযোগ দাখিল করেন তার স্বামী লোকমানের বিরুদ্ধে । এরপর নির্বাহী অফিসার স্থানীয় ব্যাক্তি বর্গেদের নিয়ে স্বামী সাথে-স্ত্রীর মিমাংশ করে দেয়। এর পর থেকে বাতিজা ওসমান গণির ষড়যন্ত্রে আবারো ঘাতক স্বামী স্ত্রী সালেহার উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে। এবং বিভিন্ন সময় খুন করে বস্তা ভরে নদীতে পেলে দেওয়ার হুমকী ধমকী দেয় লোকমান ।
কিছু দিন যেতেই সেই আবারো যৌতুক দাবি করলেই আমার মেয়ে টাকা দিতে অপরাগত প্রকাশ করলে তাকে নিযাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। র্দীঘ চার মাস যাবৎ বড় ভাসুর আলী গাজীর ঘরে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করে। পরে লোকমান গাজী ঢাকায় গার্মেন্ট কর্মী বরিশালে শাহনাজ নামে এক মেয়েকে বিবাহ করছে বলে জানান । সালেহার ১১ বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
সদর হাসপাতালে আগুনে পুড়া আহত সালেহ বেগম আমাদের প্রতিনিধিকে জানান ,রায়পুর ইউএনও কে আমি বিষয়টি অবগত করি তিনি বলেন তালা ভেঙ্গে তোমার স্বামী ঘরে প্রবেশ কর । পরে আজ রবিবার সকালে তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করলেই স¦ামী লোকমান আমার থেকে আবার ৩ লক্ষ টাকা দাবি করলে তা দিতে আমি অস্বীকিত জানলে আমার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তাৎক্ষিন আমি ঘরের ভিতর থাকা কলসি পানি ঢেলে আগুন নিভিয়ে চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে পেলি পরে আশে পাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ ব্যাপারে তাঁরা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।এ ব্যাপারে একাধিকবার লোকমান গাজীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁর মুঠো ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
Check Also
আশাশুনিতে টঙ্গী ইজতেমায় হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।ঢাকার টঙ্গীত ইজতেমা-মাঠে নিরীহ মুসল্লিদের উপর উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের বর্বরোচিত হামলা ও পরিকল্পিত …