ক্রাইমবার্তা রিপোট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে জঙ্গিদের কোনো স্থান হবে না। জঙ্গি নির্মূলে যা যা করণীয় আমরা তাই করব।
সোমবার বিকালে ২৬ শে মার্চ ‘স্বাধীনতা দিবস’ উপলক্ষ্যে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদের নামে মুষ্টিমেয় কিছু লোক আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলামের সুনাম নষ্ট করছে। এবং আমরা আন্তর্জাতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী মসজিদের ইমাম এবং অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আপনার আপনাদের সন্তানসহ আশেপাশের কেউ জঙ্গি কার্যক্রমে লিপ্ত কিনা সেটা খুঁজে বের করুন এবং তাদেরকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করুন।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে সেই বিতর্কের সমাধান আমাদের উচ্চ আদালতই দিয়েছেন। স্বাধীনতার ঘোষণা যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই দিয়েছেন তা উচ্চ আদালতের রায়ে স্পষ্ট হয়েছে। সুতরাং এখন যারা এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে তাদেরকে আপনারা এভাবেই নেবেন যে, ‘পাগলে কিনা কয় ছাগলে কিনা খায়।’
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যে আয়োজিত সিরিজের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যেমন টেস্ট ম্যাচেও হারালাম তেমনি ওয়াডেতেও হারালাম। কিন্তু একদিকে আনন্দের খবর আবার অন্য দিকে সিলেটে জঙ্গিবাদের খবর। সুতরাং আপনারা বুঝতেই পারছেন আমি কতটা চিন্তিত।
আওয়ামী লীগে সভানেত্রী বলেন, ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালন না করে বিএনপি-জামায়াত জোট আবারও প্রমাণ করেছে তারা আলবদরের দোসর।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা গণহত্যা দিবস প্রথমবারের মতো পালন করেছি। জাতীয়ভাবে পালিত হয়েছে। তবে আমরা কি দেখলাম- বিএনপি-জামায়াত গণহত্যা দিবস পালন করলো না। এরা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। বাংলার জনগণের সঙ্গে নেই, রাজাকার-আলবদর-আল শামসের সঙ্গে আছে।
বিএনপি-জামায়াতের ‘চরিত্র স্পষ্ট’ উল্লেখ করে হাসিনা বলেন, এদের চরিত্র সম্পর্কে সবসময় জাতিকে মনে রাখতে হবে। এরাই জাতির পিতার খুনিদের পুরস্কৃত করে, যুদ্ধাপরাধীদের পুরস্কৃত করে। ক্ষমতায় যখন ছিল তখন কোনো উন্নয়ন না করে তারা বাংলার খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলে বিদেশ থেকে টাকা এনে, অনুদান এনে খেয়েছে।
Check Also
৩০ জুলাই পর্যন্ত অনেক দল সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, সংগ্রামে যুক্ত হবে কি না: সারজিস আলম
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, …