মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, চীনের কাছ থেকে দুটি সাবমেরিন কিনে প্রধানমন্ত্রী এখন বিপাকে। কারণ ভারত মনে করছে শেখ হাসিনার ওপর চীনের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারত তার পরীক্ষিত বন্ধুর এ ধরনের বিচ্যুতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। তাই তারা শেখ হাসিনার ওপর থেকে চীনের প্রভাব কাটাতে প্রতিরক্ষা চুক্তি করার জন্য পীড়াপীড়ি করছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও চারদিকে খেলতে গিয়ে এ ধরনের হোচট খাবেন তা তিনি আগে ভাবতে পারেননি।
রিজভী প্রধামন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দয়া করে আপনি বাংলাদেশকে কাশ্মীর বানাবেন না। নিজের ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন-সাধকে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যকে ভারতের জিম্মায় তুলে দেবেন না।
রিজভী আরো বলেন, বাংলাদেশে বেসরকারি চাকরি খাতে ভারত আধিপত্য বিস্তার করছে। বাংলাদেশের লক্ষ-কোটি শিক্ষিত বেকার পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর ওপর বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের রক্তাক্ত আগ্রাসনের কোনো কমতি নেই। সে কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতে প্রতিরক্ষা চুক্তি হবে- বাংলাদেশকে উপনিবেশ বানানোর এক সুদূর প্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্খদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রয়েছে দাবি তিনি বলেন, কুসিকে বিএনপি প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রয়েছে। বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানার ও লিফলেট ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। সেখানকার নির্বাচনী পরিবেশ ও সিইসির বক্তেব্যের সঙ্গে কোনো মিল নেই।
তবুও আশা করবো, একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন এই কমিশন উপহার দেবে। ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করে তার (ইসি) প্রতিশ্রতি রক্ষা করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, আব্দুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, আব্দুল আওয়াল খান, শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।