ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রিপোট::১৯টি বল-বিয়ারিং, স্প্লিন্টার, দুটি মোবাইল ফোন সেট, ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া কয়েকটি লোহার ছোট পাত, স্কচ টেপ ও রক্তমাখা একটি চাদর।এক পাশে সরিয়ে রাখা হয়েছে বিচ্ছিন্ন কয়েক পাটি জুতো।এই জিনিসগুলো উদ্ধার করে আলামত হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে সিলেটের মোঘলাবাজার থানায়।তদন্তকারীরা এখন সেগুলোর তালিকা করছেন।
শনিবার সিলেটে যে বোমা বিস্ফোরণে পুলিশের দুজন কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন, সে ঘটনার আলামত এসব।
সিলেটের স্থানীয় সাংবাদিক শাকির হোসেন জানিয়েছেন, সকালে মোঘলাবাজার থানায় মামলার খবর নিতে গিয়ে তিনি দেখতে পান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা জিনিসগুলো জব্দ আলামত হিসেবে তালিকা তৈরি করছেন।
ফোন দুটির একটি উইন্ডোজ স্মার্টফোন এবং অপরটি কম ফিচার সম্পন্ন একটি বেসিক ফোন। এই ফোনটি এমনভাবে তৈরি হয়েছে, যাতে দীর্ঘ সময় চার্জ থাকে এবং এর দামও খুব কম।
দেখে দুটি ফোনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মনে হলেও, প্রায় অক্ষতই আছে সে দুটি।
সিলেটে শনিবার সন্ধ্যায় আতিয়া মহলের কাছে পাঠানপাড়ায় একটি বাড়িতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার পরপরই দুটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
তবে, ওই বিস্ফোরণ ঠিক কীভাবে ঘটেছে সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট কোনো বিবরণ পাওয়া যায়নি।
রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “সেটি কোন হামলা ছিল না”। ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য দেবার আগ পর্যন্ত একটি ধারণা ছিল, একদল হামলাকারী অতর্কিতে এসে বোমা হামলাটি চালায়।
আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস এরই মধ্যে এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
তবে, আধঘণ্টার ব্যবধানে বিস্ফোরিত হওয়া বোমা দুটি টাইম-বোমা ছিল বলে সোমবার ঢাকার কয়েকটি দৈনিকে দাবী করা হয়েছে।
এদিকে, সাংবাদিক শাকির হোসেন জানিয়েছেন, নিহত ছয়জনের মধ্যে প্রথম বিস্ফোরণে মারা যাওয়া দুই ব্যক্তির লাশ এখনো সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
তাদের লাশ এখনো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
তিনি জানিয়েছেন, ঐ দুইজনই ডেকোরেটর ব্যবসায়ী ছিলেন বলে জানা গেছে।-বিবিসি বাংলা