ক্রাইমবার্তা রিপোট:বেনাপোল প্রতিনিধি :শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বেনাপোল স্থলপথে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রীদের গমনাগমনে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিদিন বেনাপোল-পেট্টাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৫হাজার যাত্রী ও ৫শ পণ্যবাহী ট্রাক আমদানি-রফতানি হয়ে থাকে।এখানে যাত্রী হয়রানির অভিযোগ নিত্যদিনের। এসবের সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করা হবে।দু‘পারের চেকপোস্টে নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থাকে আন্তরিককতার সাথে যাত্রীদের চলাচলে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। কোন ভাবে যাত্রীদের হয়রানী করা যাবে না। পথে পথে পাসপোর্টযাত্রীদের তল্লাশির নামে হয়রানিও বন্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেনাপোল বন্দরকে আরো গতিশীল করতে প্রয়োজনে এখানে প্রাইভেট ওয়ারহাউজ স্থাপনে অনুমতি দিতে হবে। বেনাপোল বন্দরকে আরো উন্নত করতে হবে। তিনি বুধবার বিকালে বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর ও চেকপোস্টে পাসপোর্টযাত্রী হযরানি বন্ধে এবং উন্নত সেবা প্রদান ও সীমান্তে চোরাচালানরোধ কল্পে বেনাপোলের পুটখালি সীমান্ত, চেকপোস্ট কাস্টমস, ইমিগ্রেশন,বন্দরের যাত্রী টার্মিনাল ও নোম্যান্সল্যান্ড এলাকা পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।
তিনি চেকপোস্ট পরিদর্শনের সময় ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা, চেকপোস্ট বিজিবি ও ভারতীয় কাস্টমস ও বিএসএফের সাথে কথা বলেন।তিনি ভারতগামী ও ভারত থেকে আগত যাত্রীদের সাথেও কথা বলেন।
এর আগে তিনি বেনাপোল কাস্টমস হাউজে কমিশনারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন।সকালে বেনাপোল পর্যটন মোটেলে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সাথে এক মত বিনিময় সভা করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো: শত্তকাত হোসেন, সহকারী কমিশনার আলী রেজা হায়দার, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের বেনাপোলের সহকারী পরিচালক গোলাম রসুল মিয়া, সহকারী গোয়েন্দা অফিসার মোতালিব হোসেন বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্সের স্থলবন্দর উপকমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রজমান সজন, সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব শামছুর রহমান, সহ-সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু, সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক লতা, যগ্ম সম্পাদক মহসির মিলন, জামাল হোসেন, কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।