ক্রাইমবার্তা রিপোট:: লক্ষ্মীপুরে কমলনগরে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলায় ৪ জনের ফাঁসি ও একজনকে খালাসের রায় দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
এছাড়া প্রত্যেক আসামীকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেয়া হয়। বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যূনালের বিজ্ঞ বিচারক ড. এ কে এম আবুল কাশেম এ রায় দেন। রায়ের সময় সকল আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ফাঁসির দন্ডপ্রপ্তরা হচ্ছে, কমলনগর উপজেলার চরবসু এলাকার মনা বেপারীর ছেলে ছানা উল্যাহ (৩৫), চরকালকিনি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. হারুন (৩০), চরকাদিরা এলাকার রফিকুল ইসলাম ওরফে সরকার বেপাারীর ছেলে কাশেম ওরফে কাশেম মাঝি (৩০) ও নোয়াখালীর সুধারামের আন্ডার চর গ্রামের আবদুল গণির ছেলে মো. রহিম (২৫)। খালাস পেয়েছেন চরকাদিরা গ্রামের তাজল হকের ছেলে আনার উল্যাহ। রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন নির্যাতিত ওই নারীর পরিবারসহ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, কমলনগর উপজেলায় ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর রাতে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে ১০ বছরের মেয়ের সামনে গৃহবধূকে হাত-পা বেধে পলাক্রমে গণধর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীরা ধর্ষণ শেষে তার যৌনাঙ্গে লাঠির খুঁটা দিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন সে হাসপাতালের বেডে অচেতন অবস্থায় ছিল।
এরপর ২৯ ডিসেম্বর গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে কমলনগর থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ৫ জনসহ ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৫ সালের ৩১ মে আদালতে চাজশিট দেয় কমলনগর থানা পুলিশ। দীর্ঘ শুনানী ও ৯জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দুই বছর তিন মাস পরে আদালত এ রায় দেন।
Check Also
ঢাকা প্রসঙ্গে বদলাতে পারে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি
পাঁচ দশকের বিরতির পর গত মাসে বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে একটি পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজ ডক …