ক্রাইমবার্তা রিপোট:রাণীশংকৈল প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈলের প্রবীণতম ব্যক্তি নজর মোহাম্মদ। যিনি স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। বর্তমানে তিনি ১২২ বছর বয়সে রয়েছেন। উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের করনাইট বাসনাহার গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৮৯৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা মৃত তিফাইত মোহাম্মদ । বাবার একমাত্র পুত্র নজর মোহাম্মদ ওরফে চেল্লি। কৃষক পরিবারে জন্ম তিনার। বৃটিশ শাসনামলে টেলেন্টপুলের ছাত্র ছিলেন। অবশ্য পড়ালেখা আর বেশীদুর আর হয়নি। সাংসারিক জীবনে ৫ স্ত্রীর সাথে ঘর সংসার করেন তিনি। পর্যায়ক্রমে ৪ স্ত্রীর মৃত্যুবরণ করলে ৫ম স্ত্রীর সাথে ঘর সংসার করছেন। নজর মোহাম্মদ ৫ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। নাতি নাতনি সহ বর্তমানে প্রায় ৫০ জন রয়েছে।
শিক্ষা জীবনে কলা গাছের পাতায় ও চালের গুড়া ভাজিয়ে কালি তৈরী করতেন। ময়ুর পাখির পাখনা আর বাঁশের কঞ্চি দিয়ে কলম তৈরী করে লেখাপড়া করেছেন। আলাপচারিতায় তিনি বলেন সে সময় গোলা ভরা ধান আর পুকুর ভরা মাছ, গোয়াল ভর গরু ছিল। এমন চিত্র শুধু নিজেদের পরিবারে নয় অনেকের পরিবারে ছিল। এক জোড়া মহিষ ৮-১০ টাকায় বিক্রী হতো। যানবাহনের অভাবে পায়ে হেঁটে ঠাকুরগাও-দিনাজপুর যেতে হতো। তদানিন্তন পাকিস্থানি শাসনামলে ১৪ আগষ্ট এবং স্বাধীনতা অর্জনের পর ২৬ মার্চ বিজয় দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা দিবসের জাতীয় খেলাধুলা অনুষ্ঠানে বুড়োদের ৪ শত মিটার দৌড়, হাতে লাঠি হাড়িভাঙা আর কোমরে বস্তা বেঁধে দৌড়ে তিনি বেশ পারদর্শী ছিলেন। বয়সের ভারে সবগুলো দাঁত ঝরে গেলেও ভাত, মাছ, গোশত, ডিম, কলা, ফলমুল, রুটি সহ বিভিন্ন ধরনের খাবার অনায়াসে খেয়ে যাচ্ছেন। এখনও চশমার সাহায্য ছাড়াই বই, পেপার পত্রিকা পড়তে পারছেন। বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দুরে নেকমরদ বাজার। অনেক সময় পায়ে হেঁটে যান। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে ছুটে যান সময়মতো। কৃষি কাজেও বাড়ির অন্যদের এখনও সহযোগিতা করে আসছেন। নজর মোহাম্মদ কানে খুব কম শুনতে পান। অনেক জোরে কথা বলতে হয় উনার সাথে। ১২২ বছর বয়সে অনায়াসে ঘোরাফেরা, হাট বাজার করা দেখে মানুষ হতভম্ব হয়ে যান। কথা শেষে তিনি হাসি মুখে দোয়া করেন নিজের জন্য দোয়া চান। জেলার মধ্যে এমন বয়সের মানুষ আর চোখে পড়েনা। নজর মোহাম্মদই শতাব্দির প্রবীনতম ব্যক্তি।
রাণীশংকৈলে পৌর ছাত্রলীগের জঙ্গিবাদ বিরোধী মিছিল
রাণীশংকৈল প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগায়ের রাণীশংকৈলে দেশ ব্যাপী স্বাধীনতার বিরোধী শক্তির চক্রে ঘটে যাওয়া একের পর এক জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে বুধবার পৌর ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান ফটক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ বাসষ্ট্যান্ডে সমাপ্ত করে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা করে। সভায় পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি তামিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রকি সহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মিরা বক্তব্য রাখেন। বক্তরা শিক্ষার্থীদের দেশ বিরোধী চক্রের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহবান জানান। এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে সম্মিলিতভাবে জঙ্গি দমনের অঙ্গিকার করা হয়।
Check Also
আশাশুনির প্রতাপনগরে ৫ আগস্ট বন্দুকের গুলিতে নিহত ৩ শহীদের অভিভাবকদের সংবাদ সম্মেলন
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।। গত ৫ আগষ্ট-২০২৪ আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান …