ক্রাইমবার্তা রিপোট:নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল কেকেএস ইন্সটিটিউশনে অনুষ্ঠিত ‘স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন’কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে দশম শ্রেণির তিন ছাত্র গুরুতর জখম হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
নির্বাচনে জাল ভোট প্রদানে বাধা দেয়ার জেরে প্রতিন্দ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেদী, রমজান ও রিয়াজুলকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় রিয়াজুল ও রমজানকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত ছাত্রদের সহপাঠী ও অভিভাবকেরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সারাদেশের মতো লোহাগড়ার মাকড়াইল কেকেএস ইন্সটিটিউশনেও ‘স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন’ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রতিন্দ্বন্দ্বী প্রার্থী নবম শ্রেণির ছাত্র পাভেলের পক্ষে জাল ভোট দিতে আসে শুভ শিকদার নামের এক বহিরাগত তরুণ। এ সময় অপর প্রার্থীর প্রতিনিধি রমজান জাল ভোট প্রদানে বাধা দেয়। এ ঘটনায় শুভ ও পাভেল ক্ষুদ্ধ হয়।
আজ বিদ্যালয় খোলার পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শুভর নের্তৃত্বে বহিরাগত তিন তরুণ বিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেদী, রমজান ও রিয়াজুলকে ছুরিকাঘাতে মারাত্মক জখম করে। তাদেরকে প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসক সুজয় কুমার বকসী জানান, জখমকৃত তিনজনের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হক বলেন, বৃহস্পতিবার স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় জাল ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মাঝে দ্বন্দ্ব-সংঘাত সৃষ্টি হয়। ওইদিন (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। এরপরও শিক্ষার্থীদের ওপর এ ধরনের হামলা দুঃখজনক।
লোহাগড়া থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।