ক্রাইমবার্তা রিপোট:মৌলভীবাজারে উগ্রবাদীদের দ্বিতীয় আস্তানা শহরের বড়হাটে ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’র সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। এ অপারেশনে এক নারী ও দুই পুরুষ উগ্রবাদী নিহত হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুর ১২টায় স্থানীয় হোসেন কমিউনিটি সেন্টারের ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রাধান মো: মনিরুল ইসলাম।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ওই আস্তানায় ঢুকে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান শুরু করে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
এর আগে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো: শাহজালাল বড়হাটের উগ্রবাদী আস্তানায় দ্বিতীয় দিনের মতো ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ অভিযান শুরুর কথা জানান।
পর্যাপ্ত আলোর কারণে শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযান স্থগিত রাখার কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। এ সময় তিনি জানিয়েছিলেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে শনিবার সকালে ফের অভিযান শুরু করা হবে।
শুক্রবার সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটে প্রথম অভিযান শুরু করে সোয়াট ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা। অভিযান শুরুর পর সারাদিন থেমে থেমে প্রচন্ড গুলির শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। ওই দিন ১১টার সময় মিনিটে কাউন্টার টেরোরিজম ইন্টের্যাজেন্স প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, একাধিক আবাসিক ভবনের কারণে এ অপারেশন জটিল হয়ে উঠেছে। এ অপারেশন শেষ করতে সময় লাগতে পারে। অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মেক্সিমাস’। এ আস্তানায় একজন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ উগ্রবাদী রয়েছে- এমন তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন তিনি।
এর আগে সেদিন সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে সোয়াট ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়।
বড়হাট এলাকার আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সাধারণ মানুষ ও যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। আজ শনিবারও সে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি মোতায়েন রাখা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে তারা মৌলভীবাজার শহরের বড়হাট আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসা গলিতে দোতলা বাড়িটি উগ্রবাদী আস্তনা হিসেবে সনাক্ত করে ঘিরে রাখা হয়। ওই বাড়ি ঘিরে রাখার পরে সেখানকার তত্ত্বাবধায়কের তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১নং খলিলপুর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামের জঙ্গি আস্তানাটি সনাক্ত করা হয়। একদিন ঘিরে রাখার পর বৃহস্পতিবার নাসিরপুরে ‘অপারেশন হিট ব্যাক’ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি বড়হাটের আস্তানাটি তারা ঘিরে রাখে। এ দিকে নাসিরপুরের অভিযান শেষে ওই জঙ্গি আস্তানা থেকে ‘ছিন্নভিন্ন সাত জনের লাশের অংশ’ পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ। পুলিশের ধারণা, বুধবার বিকেলেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা নিহত হয়। তারা একই পরিবারের সদস্য।