ক্রাইমবার্তা রিপোট:ফিরোজ জোয়ার্দ্দাার,স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শান্তিপূর্নভাবে শুরু হল এইচ.এস.সি. ও সমমানের পরীক্ষা। রোববার পরীক্ষার প্রথম দিনে নকলমুক্ত পরিবেশে পৃথক ৪টি কেন্দ্রের ৫টি ভেন্যুতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এইচ.এস.সি. ও সমমান পরীক্ষায় উপজেলার ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ১৬৮১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ২২জন। পৌরসদরের শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে উপজেলার কাজীরহাট ডিগ্রী কলেজ, সোনাবাড়িয়া সোনার বাংলা ডিগ্রী কলেজ, হাবিবুল ইসলাম কলেজ ও বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী কলেজের এইচ.এস.সি. পরীক্ষায় মোট ২৯১জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন। প্রথমদিন বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষা ওই কেন্দ্রে মোট অনুপস্থিত ছিল ৫জন, এর মধ্যে ছাত্র ৩জন ও ২জন ছাত্রী। কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে ছিলেন কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরা বেগম। পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির আহবায়কের দায়িত্বে ছিলেন প্রভাষক রফিকুল ইসলাম। অপরদিকে, একই কেন্দ্রের বিএম শাখার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে কলারোয়া আলিয়া মাদ্রাসার ভেন্যুতে। সেখানে উপজেলার ধানদিয়া বেগম খালেদা জিয়া কলেজ, ছলিমপুর হাজী নাছিরউদ্দীন কলেজ, বামনখালীর ইঞ্জি.শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ, বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী কলেজ ও সোনাবাড়িয়া সোনার বাংলা কলেজ থেকে ২৬৯জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। প্রথমদিনের পরীক্ষায় ওই ভেন্যুতে অনুপস্থিত ছিল ৪ জন। সেখানে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে আছেন প্রভাষক আলমগীর কবির। এইচ.এস.সি.পরীক্ষার অপর কেন্দ্র বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজে উপজেলার চন্দনপুর ইউনাইটেড কলেজ, কলারোয়া সরকারি কলেজ ও শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজের ৬৯৮জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। প্রথম দিনের পরীক্ষায় সেখানে অনুপস্থিত ছিল ৯ জন। কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমান। এইচ.এস.সি.’র অপর কেন্দ্র কলারোয়া সরকারি কলেজে উপজেলার ধানদিয়া বেগম খালেদা জিয়া কলেজ, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ, ছলিমপুর হাজি নাছির উদ্দীন কলেজ ও বামনখালীর ইঞ্জি.শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের ৩১৬ জন পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। অনুপস্থিত ছিল ১ জন। কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে আছেন সহকারী অধ্যাপক ফারুক হোসেন। আলিম পরীক্ষার একমাত্র কেন্দ্র উপজেলার হামিদপুর সিদ্দিকিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার হামিদপুর, কাকডাঙ্গা, বুঝতলা ও কলারোয়া আলিয়া মাদ্রাসার ১০৭জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। প্রথমদিনের কোরআন শিক্ষা পরীক্ষায় সেখানে অনুপস্থিত ছিল ৩ জন। কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে ছিলেন অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান। এদিকে শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজ ও হামিদপুর মাদ্রাসা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায়। এসময় উপজেল সমবায় অফিসার নওশের আলী থানার এএস আই শাহিন ও গোপাল উপস্থিত ছিলেন।
কলারোয়ায় লিলু কমিশনারের ভাইপো দূর্ঘটনায় নিহত রেজাউলের দাফন সম্পন্ন
ফিরোজ জোয়ার্দ্দাার,স্টাফ রিপোর্টার,
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী সদ্য প্রয়াত রেজাউল ইসলামের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার জোহর নামাজের পর পৌরসদরের ঝিকরা জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে ওই জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সে ঝিকরা গ্রামের প্রাক্তন মেম্বর রফিকুল ইসলাম ঝন্টুর ছেলে ও বর্তমানে ওই ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর মেজবাউদ্দীন লিলুর ভাতিজা। রেজাউল ইসলাম শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে মটরসাইকেলযোগে কলারোয়া আসার পথে উপজেলার কয়লা এলাকায় দ্রুতগতির নছিমনের সাথে সংঘর্ষে নিহত হন। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত রেজাউল (৪৫) এর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরাফাত হোসেন, পৌর মেয়র গাজী আক্তারুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি এম মুনছুর আলী, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ রইছউদ্দীন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শরীফুজ্জামান তুহিন, যুবদল সাধারণ সম্পাদক এমএ হাকিম সবুজ, প্যানেল মেয়র প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুল, পৌর কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, মেজবাহ উদ্দিন লিলু, জাহাঙ্গীর হোসেন, আকিমুদ্দিন আকি, শেখ ইমাদুল ইসলাম, প্রাক্তন শিক্ষক শের আলীসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লী প্রমুখ। জানাজা নামাজ পরিচালনা করেন ইমাম হাফেজ ইমরান হোসেন। জানাযা শেষে মরুহুম রেজাউলকে তার বাবার পাশে সমাহিত করা হয়েছে।