ক্রাইমবার্তা রিপোট:সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ ধর্ম নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য করলে প্রচলিত আইনে তাদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তবে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না। একই সঙ্গে ইসলাম সম্পর্কে ইমামদের সঠিক বয়ান দিতেও অনুরোধ জানিয়েছে আদালত।
আজ রোববার গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল মামলার রায়ের এ পর্যবেক্ষণ বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
হাইকোর্ট বলেছেন, রাহমানি ছাড়া আসামিরা সবাই মেরিটরিয়াস। তারা কেন বিপথে গেলেন? এ মামলার মধ্যে আমরা তা খুঁজে পাইনি। তবে বিপথে যাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। কেউ কেউ অভিভাবকদের দায়ী করেন’।
রায়ে রাজীব হত্যার দায়ে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র রেদোয়ানুল আজাদ রানা ও ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
বিচারিক আদালতের পুরো রায়ের সঙ্গেই একমত হয়েছেন উচ্চ আদালত। ফলে মাকসুর হাসান অনিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এহসান রেজা রুম্মান, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজকে দশ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড বহাল রয়েছে। একইসঙ্গে বহাল রয়েছে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীমউদ্দিন রাহমানির ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং আসামি সাদমান ইয়াছির মাহমুদের ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডও বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।