ক্রাইমবার্তা রিপোট:দেবরের সঙ্গে অনৈতিক কাজের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে।
রোববার সকালে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দেলুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর অবস্থায় আহত ওই গৃহবধূকে (২৩) বেলকুচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ জানান, শনিবার রাতে তার শাশুড়ি ও স্বামী তাকে তার দেবর কাউসারের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে কুড়ালের হাতল দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
গৃহবধূ জানান, তার শাশুড়ি তাকে বলেন, কাউসারের সঙ্গে জ্বীন আছে, তাই তার সঙ্গে শারীরিক সর্ম্পক করলে সংসারের উন্নতি হবে।
এমন প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে তাকে জোর করে দেবর কাউসারের ঘরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে তিনি প্রতিবেশীদের সব ঘটনা বলে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী ও শাশুড়ি মিলে তাকে পিটিয়ে আহত করে।
এ ঘটনায় তার স্বামী মানিক, শাশুড়ি আউলিয়া ও দেবর কাউসারের শাস্তি দাবি করেন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর মামা জানান, ৫ বছর আগে দেলুয়া গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে মানিক মিয়ার সঙ্গে তার ভাগ্নির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তাদের সব দাবি মেনে নিয়ে তার বাবা বিভিন্ন সময় টাকা দিত।
কিছুদিন পূর্বে ওই গৃহবধূ কন্যাসন্তান জন্ম দেন। এরপর তাকে নির্যাতন করে বাবার বাড়ি থেকে আরো টাকা আনতে বলে। এতে সে রাজি না হওয়ায় পরিবারের সবাই তাকে সংসারের উন্নতি হবে বলে দেবর ভণ্ডপীর কাউসারের সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে চাপ দেয়। এমন প্রস্তাবে সে রাজি না হওয়ার তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
অভিযুক্ত শাশুড়ি আউলিয়া বেগম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের স্বামীর-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন সমস্যার কারণে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া হয়। এ কারণে তাকে তার স্বামী শাসন করেছে।
উল্লেখ্য, আলোচিত গৃহবধূর ওই দেবর ভণ্ডপীর কাউসার দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাড়িতে মাজার বানিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করে আসছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।