ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তির কোনো যুক্তি নেই : আনু মুহাম্মদ

ক্রাইমবার্তা রিপোট:তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর-খনিজ সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তির একটা লক্ষ্য থাকতে হয়। যুক্তি থাকতে হয়। কিন্তু এই প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তির কোনো যুক্তিই তো নেই।

আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে গোলটেবিল বৈঠকে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ একথা বলেন।

ফাইল ছবি 

 

গণসংহতি আন্দোলন কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক : সমতা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে আনু মুহাম্মদ আরো বলেন, এই সমঝোতা চুক্তির কিছু যুক্তি আছে। একথা ঠিক ভারত একটি বৃহৎ অস্ত্র আমদানিকারক দেশ। বৃহৎ অস্ত্র রফতানিকারক দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই বৃহত্তর অস্ত্র আমদানিকারক দেশের অস্ত্র যখন পুরনো হয়ে যায় তখন তো তা রফতানি করতেই হবে। আর পৃথিবী তো এখন যুদ্ধ অর্থনীতির মধ্যে ডুবে গেছে। এর মধ্যেও ভারত ঢুকেছে। এছাড়া পুরো বাংলাদেশের ওপর তার কর্তৃত্বটা প্রতিষ্ঠাও করতে চায় দেশটি। আসলে এই প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি দিয়ে কিছুই হবে না। ইতোমধ্যে সব কিছুই শুরু হয়ে গেছে। যৌথ মহড়া থেকে নিয়ে সমস্ত কিছুই চলছে। আসলে বর্তমানে হতে যাওয়া সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে একটা ফিনিশিং দেয়ার কাজ হচ্ছে মাত্র।

তিনি বলেন, আসলে আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্ব প্রতিরক্ষা হচ্ছে সুন্দরবন। যা আমাদেরকে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা প্রাকৃতিক ব্যবস্থা। বছর বছর কোটি কোটি মানুষ এর মাধ্যমে রক্ষা পায়। বাংলাদেশ অরক্ষিত হয়ে যাবে যদি সুন্দরবন না থাকে। তাই প্রতিরক্ষা চুক্তি না করে বরং রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাতিল করা হোক। ভারত সরকারকে বলতে হবে আমাদের দেশের অন্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য উক্ত গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনা করেন সিপিবি প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহ আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ নেতা বজলুর রমিশদ ফিরোজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ কামাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজিমউদ্দিন খান, শিল্পী মাকসুদুল হক, শিল্পী অরূপ রাহী এবং বামমোর্চা ও সিপিবি-বাসদের নেতৃবৃন্দ।

সভা পরিচালনা করবেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আবুল হাসান রুবেল।

 

Check Also

ট্রাইব্যুনালে আ.লীগ নেতাদের বিচার দেখতে এসে যা বললেন সাঈদী পুত্র

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।