ক্রাইমবার্তা রিপোট:ভারতের সাথে কোনো বিতর্কিত চুক্তি না করতে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, দেশের মানুষের কাছে বিতর্কিত হন এমন কোন চুক্তি করবেন না।আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাবেক সভাপতি নুরে আরা সাফা, মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
ভারত সরকারকে উদ্দেশ্য করে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যে চুক্তি সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণ জানে না। এমন বিতর্কিত চুক্তি না করার জন্য অনুরোধ করছি। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে এমন চুক্তি করা ঠিক হবে না বলেও জানান তিনি।
তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভারতের সাথে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হচ্ছে পানি চুক্তি। এই পানি চুক্তি থেকে আর কোনো বড় চুক্তি হতে পারে না। আর এই চুক্তি না হলেও কোনো সমস্যা নেই এটা কিভাবে বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ড. মোশাররফ বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের দাবি এই পানি চুক্তি যদি আপনি না করতে পারেন তবে আপনার ভারত সফর সম্পূর্ণ ব্যর্থ হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধী কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করা হয় তবে দেশের জনগণ মানবে না। শেষ রক্ত দিয়ে হলেও রুখবে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, কুমিল্লা নির্বাচনে জয়ের জন্য আওয়ামী লীগ সব রকমের প্রস্তুতি নিয়েছিল। আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, গুম, হত্যার ভয় দেখিয়েও আটকাতে পারেনি। যদি নিরপেক্ষ ভোট হতো তবে আমাদের প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হতো।
চলমান আইপিইউ সম্মেলন নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, যাদের আহ্বানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আসছে তারা নিজেরাই নির্বাচিত নয়। আইপিইউ সম্মেলন প্রহসন ছাড়া আর কিছু নয়।
অনুষ্ঠানে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারতের সৈন্যরা বাংলাদেশে ঢুকতে পারে সেই চুক্তিই শেখ হাসিনা গোপনে করছে।
তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ভারতের কাছে ইজারা দেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে দিলে আপনি জনগণের ধিকৃত হবেন।
জঙ্গিবাদের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, প্রতিটি জঙ্গীদেত বিষয়ে খবর নিয়ে দেখেন সবাই আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগে রাজাকার পাবেন, জঙ্গী পাবেন, গণতন্ত্র বিরোধী পাবেন। কারণ তারা এসবের উৎপাদনের রাজনীতি করেন।