ক্রাইমবার্তা ডেস্ক রিপোট:বিদ্রোহী অধ্যুষিত সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ইদলিবে রাসায়নিক গ্যাসে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেল। মৃতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। গ্যাসে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরো শ’ চারেক মানুষ। ঘটনাস্থলে থাকা পর্যবেক্ষক থেকে উদ্ধারকারী দল এমনকি চিকিৎসকরা পর্যন্ত সন্দেহ করছেন সিরিয়া সরকারকে। তাদের দাবি, সিরিয়া সরকারই পরিকল্পিতভাবে বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলে মঙ্গলবার এই রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে। কিন্তু, সিরীয় সেনা এই অভিযোগ খারিজ করে জানায়, তারা কোনো রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করেনি।
ইদলিবের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়, ৫০ জনের বেশি মারা গেছে। ৩০০ জনেরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কিন্তু, ইউনিয়ন অফ মেডিক্যাল কেয়ার অর্গানাইজেশন দাবি করে, রাসায়নিক গ্যাসে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।
ব্রিটিশ মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজার্ভেটরির দাবি, সিরিয়া সরকারের জেট প্লেন থেকেই বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলে রাসায়নিক হামলা হয়েছে। যাতে কমপক্ষে ৫৮ জন মারা গেছে।
ডিরেক্টর রাম আবদুল রহমান জানান, সিরীয় সরকারকে সন্দেহ করার মতো অনেক কারণ রয়েছে। তাঁ দাবি, এদিন সুখোই ২২-এর মতো জেট বিমান থেকেই রাসায়নিক হামলা হয়েছে। সিরীয় সরকার এ ধরনের যুদ্ধবিমানই ব্যবহার করে। তবে, সিরিয়ার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই অভিযোগ পুরোপুরি নস্যাৎ করে জানানো হয়, ইদলিবের খান শেইখৌন শহরে আমরা এদিন কোনও রাসায়নিক বা বিষাক্ত কিছু ব্যবহার করিনি। এর আগেও করিনি। এমনকী ভবিষ্যতেও করব না।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের বিমান থেকেও এ ধরনের কোনো হামলা হয়নি। সম্ভবত সিরিয়ার এই ঘটনা নিয়ে বুধবারই আলোচনায় বসতে চলেছে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
ইদলিবের স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রধান মৌনজের খলিল জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ খান শেইখৌন শহর লক্ষ করে গ্যাস হামলা হয়েছে।
..