ক্রাইমবার্তা রিপোট:মোস্তফা কামাল- শ্যামনগর ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ইছাকুড় গ্রামের বিধবা শেফালী খাতুন ‘স্বপ্ন’ প্রকল্পের সহায়তায় স¦াবলম্বী হয়েছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের অধীনে গণপ্র্র্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় এবং সুশীলনের বাস্তবায়নে স্ট্রেন্দেনিং ওইমেনস্ এবিলিটি ফর প্রোডাক্টিব নিউ অপরচুনিটিস (উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুজোগ গ্রহনে নারীর সামর্থ উন্নয়ন) ‘স্বপ্ন’ প্রকল্পের সহায়তায় বর্তমানে স¦াবলম্বী হয়েছেন। তার স্বামী শাহিন আলম ক্যান্সারে মারা যাওয়ার পর ২টি ছেলে-মেয়ে নিয়ে অতি কষ্টে দিন কাটান। সংসারে দুইটি সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে অন্যের বাড়ীতে কাজ করে কোন রকমে এক বেলা খেয়ে আরেক বেলা না খেয়ে দিন যেত। সমাজের কাছে কোনই মূল্যই ছিল না। ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে পারতো না। মাইকে প্রচারের মাধ্যমে জানতে পেরে ইউনিয়ন পরিষদে লটারীর মাধ্যমে যাচাই বাচাই করে স¦প্ন কর্মী হিসাবে নিয়োগ পান এবং ৩৬ জনের দলনেত্রী নিবাচিত হন। প্রতি দিন ২০০ টাকা করে মুজুরীর ১৫০ টাকা নগদ ও ৫০ টাকা ব্যাংকে জমা থাকে, তাতে তার সংসার চলতে থাকে। গত ২৫ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে আমি রোসকার লটারীতে ৭,২০০/- টাকা পেয়ে, ৬০০০/- টাকা দিয়ে ১টি সেলাই মেশিন ,৫০০ টাকা দিয়ে সিমেন্টের খালী ব্যাগ,খুচরা মালামাল ও যাতায়াত বাবদ খরচ করে, সপিং ব্যাগ তৈরী করে ও মাঝে মাঝে জামা কাপড় সেলাই কওে দৈনিক ৪০- ৫০/- টাকা আয় করে, কয়েকদিন পর দুটি ছাগল পোশানী পায় , ২টি ছাগল থেকে এখন ৪ টি বাচ্ছা হয়ে ৬টি ছাগল , এরমধ্যে নিজের কিছু টাকা ও সমিতি থেকে লোন নিয়ে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য সোলার ক্রয় করে, ঘরের পাশে সবজি চাষ করে, ৮ মাস পর বেতনের টাকা বাচিয়ে মালামাল ও ঘরসহ ১২০০০/- টাকা দিয়ে এবংস্বপ্ন প্রকল্পের ক্ষুদ্র ব্যবসা ব্যবস্থাপনা ্ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়ে মুদি খানার ব্যবসা শুরু করে, সব কাজ সামলে যথাসময়ে দুওে কাজে ও ব্যাংকে যাওয়ার জন্য ২৫০০/- টাকা দিয়ে একটি বাইসাইকেল ক্রয় করে, প্রবল ইচ্ছাশক্তি, আতœবিশ্বাস তাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। ব্যাগ তৈরী কওে বাজাওে বিক্রি করে, এখন সে অতিরিক্ত ১০০/= থেকে ১৫০/= টাকা আয় করে ,ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার সকল খরচ যোগাতে পারে। সেফালী বলেন,- আমি এখন প্রয়োজন মত ব্যায় করিতে পারছি। জীবন ধারনের জন্য যা যা প্রয়োজন তা আমি পরছি না। কোথায় গেলে কি সেবা পাবো সেটা ও শিখেছি। এখন আমার আর খাওয়ার কষ্ট হয় না। কোন খাবারে পুষ্টি আছে সেটাও আমি প্রশিক্ষনের মাধ্যমে জানিতে পারি। এবং সেই অনুযায়ী আমার বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাবার খেতে দিতে পারি।আমি সপ্ন প্রকল্পকে ধন্যবাদ জানাই। আমার জীবনে এই পরবর্তন আনার জন্য অন্যেদের সেবা করিব। এই মন মানষিকতা তৈরি করার জন্য আমি এই ধরনের মাটির কাজ করবো না। ব্যবসা করে নিজেকে স্বাবলম্বি করবো। এই জন্য আমি এখন আমার ছেলে মেয়েকে নিয়ে খুব সুখি আছি। আমি আমাকে পরিবর্তন করতে পেরেছি।
দুইটি পাইপগান, একটি ট্রলার, ব্যাটারী সহ একটি সোলার প্যানেল উদ্ধার
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সুন্দরবনে বন্দুক যুদ্ধ
শ্যামনগর ব্যুরোঃ সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের উলোখালি খালে নৌ-পুলিশ ও বনদস্যু জোনাব বাহিনীর গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুইটি পাইপগান, একটি ট্রলার, ব্যাটারী সহ একটি সোলার প্যানেল, হাড়ি পাতিল সহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সুন্দরবনের উলোখালি খালে এ ঘটনাটি ঘটে। সুন্দরবন সংলগ্ন ভেটখালী রায়নগর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মন্টু কুমার দাশ জানান, সুন্দরবনে উলোখালি খালে বনদস্যু জোনাব বাহিনী অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নৌপুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জোনাব বহিনী গুলিবর্ষন করে। নৌ-পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। প্রায় ১০ মিনিট উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ে বনদস্যুরা পিছু হটে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল তল্লাশী করে একটি ট্রলার, দুইটি পাইপগান, ব্যাটারী সহ একটি সোলার প্যানেল, হাড়ি পাতিল সহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বা কাউকে আটক করতে পারিনি বলে তিনি জানান। শ্যামনগর থানার ওসি সৈয়দ মান্নান আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।