ক্রাইমবার্তা রিপোট:ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে এক সন্তানের জননীকে বিয়ে করতে বাধ্য করল পুলিশ। ওই মহিলা এক ইতালী প্রবাসীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী।
শুক্রবার দুপুরে কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে ভাঙ্গা থানায় তাদের বিয়ে দেয়া হয়।
পুলিশ জানায়, ভাঙ্গা উপজেলার হাসপাতাল সংলগ্ন একটি ভবনে পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকেন ইতালী প্রবাসীর স্ত্রী মাকসুদা ওরফে মাহমুদা (২৫) ও আরএফএল কোম্পানির সেলস ম্যানেজার মো. নোমান। তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এক পর্যায়ে এক সন্তানের জননী মাহমুদা বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু বিয়ে করতে অস্বীকার করে নোমান। এতে মাহমুদা ক্ষিপ্ত হয়ে নোমানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে ভাঙ্গা থানার এসআই জাহিদ নোমানকে বৃহস্পতিবার বিকালে আটক করেন।
শুক্রবার দুপুরে কঠোর গোপনীয়তায় মাহমুদার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে নোমানকে ছেড়ে দেয়া হয়।
মাহমুদা ও নোমানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের বক্তব্য নেয়া যায়নি।
ভাঙ্গা থানার এসআই জাহিদ যুগান্তরকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে ওসি স্যার ভালো বলতে পারবে, তাকে ফোন দেন।’
ভাঙ্গা থানার ওসি সৈয়দ মো. আবদুল্লাহ বলেন, গত ৮ মাস আগে ইতালী প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে মাহমুদার ডিভোর্স হয়েছে। নোমান ও মাহমুদার সম্মতি ও উভয় পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে থানার বাইরে কাবিন করে বিয়ে হয়েছে।
ডিভোর্সের কাগজপত্র দেখেই বিয়ের সম্মতি দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।