সিরিয়ার বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি শহরে সরকারি বাহিনীর সামরিক স্থাপনা (বিমান ঘাটি) লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মঙ্গলবারের রাসায়নিক হামলার জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম কোন দেশের উপর হামলা চালানোর নির্দেশ দিলেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো ওই বিমান ঘাঁটি থেকে গত মঙ্গলবার সকালে রাসায়নিক গ্যাস হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত্ ৭২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। তাদের মধ্যে বহু শিশু রয়েছে। বলা হচ্ছে, সন্দেহজনক রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রতিবাদ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে।
শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমনটা উল্লেখ করা হয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ভূমধ্যসাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর ডেস্ট্রায়ার থেকে সিরিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে ৫০টিরও বেশি টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।
ওই বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানোর আগে সেখানে থাকা রাশিয়ান সেনাসদস্যদের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছিল। হামলা চালানোর আগে তাদের সেখান থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে, জানিয়েছে পেন্টাগন।
এদিকে, রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলার পরই জ্বালানি তেলের মূল্য প্রায় এক দশমিক ছয় শতাংশ বেড়ে গেছ। স্বর্ণ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বণ্ডের শেয়ারমূল্যও বেড়ে যায়। কিন্তু ডলারের দাম পড়ে গেছে।