ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :সিরিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের আরো সামরিক হামলা চালানোর হুমকির পর পাল্টা হুমকি দেয় রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন জানায়, বাশার আল আসাদ সরকারের ওপর দ্বিতীয় বারের মতো হামলার হুমকি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে পা বাড়িয়েছে।
শুক্রবার সিরিয়ার আল শায়রাত বিমানঘাঁটি হামলার পর জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি নিরাপত্তা পরিষদের জরুরী বৈঠকে বলেন, এই ধরনের আরো হামলার প্রস্তুতি আমাদের আছে, তবে আশা করছি তার প্রয়োজন হবে না।
ইতোমধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন সিরিয়ার উপকূল রক্ষা করার জন্য যুদ্ধজাহাজ এডমিরাল গ্রিগোরোভিচ প্রেরণ করেছেন। সিরিয়ায় একটি শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া।
রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। তিনি আরো বলেন, অল্পের জন্য যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষ এড়িয়ে গেল। এর আগে ফেসবুকে তিনি বলেন, বিমান হামলা দুই পক্ষের সম্পর্ককে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র জানায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর এক ঘণ্টা আগে রাশিয়াকে সতর্ক করা হয়েছিলো। পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেভ দেভিস বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাশিয়ার উপস্থিতি থাকতে পারে এমন জায়গা এড়িয়ে চলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, হামলার রাশিয়ার বাহিনীর সঙ্গে যৌথ সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য কয়েক দফা আলোচনা করা হয়েছে।
কেন না যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সামরিক চুক্তি রয়েছে। যখন রাশিয়ার কোনো যুদ্ধ বিমান আকাশে উড়বে তখন মার্কিন জাহাজ চলাচল করবে না। আর যখন মার্কিন যুদ্ধজাহাজ চলবে তখন রুশ জাহাজ চলবে না।
গত মঙ্গলবার সিরিয়াতে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর রাসায়নিক হামলা চালানো হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ওই রাসায়নিক হামলা আসাদ সরকার চালিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরীয় সরকারের বিমান ঘাঁটির ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্দেশ দেন।
সিরিয়ার বিমানবাহিনীর ওপর ৫৯টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। মার্কিন প্রশাসন জানায়, এটি আসাদ সরকারের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ফল। সিরিয়ার সরকার জানায় এই হামলায় ৪ শিশুসহ ৭জন নাগরিক নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভøাদিমির সাফ্রোনকভ বলেছেন, ‘সিরিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কোনও বৈধতা নেই। আর এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে সন্ত্রাসীদেরই উৎসাহিত করছে।’ মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভ মুচিন জানিয়েছেন, সিরিয়ার বিরুদ্ধে আরও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ডেইলি মেইল ও দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট অবলম্বনে,