ক্রাইমবার্তা রিপোট:০৮ এপ্রিল ২০১৭,শনিবার, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকের আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হায়দরাবাদ হাউজের ডেকান স্যুটে একান্তে বেশ কিছুক্ষন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন। এই আলোচনায় যেমন উঠে এসেছিল আঞ্চলিক নানা ইস্যু তেমনি আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়েও দুই নেতা মত বিনিময় করেছেন বলে জানা গেছে। দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিযে যাবার লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, জ্বালানি শক্তি এবং বাণিজ্যের মত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে সহযোগিতা বিস্তৃত করার লক্ষ্যে তারা আলোচনা করেছেন। এদিন সকালের দুই নেতার মধ্যে একান্ত আলোচনার শেষে হায়দরাবাদ হাউজে প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনায় মিলিত হয়েছেন তাঁরা। এই বৈঠকে ২টি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক ছাড়াও আরও ২০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বৈঠক শেষে যৌথভাবে ব্রিফ করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। তিস্তা চুক্তির বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, একমাত্র বাংলাদেশ ও ভারত সরকারই পারবে তিস্তা সমস্যার সমাধান করতে। খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা হবে। সাড়ে ৪০০ কোটি ডলার বাংলাদেশকে রাষ্ট্রীয় ঋণ প্রদানের ঘোষণা দেন মোদি। এছাড়া সামরিক সরঞ্জাম কিনতে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার প্রদানের কথা জানান তিনি। বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক এখন সোনালী পর্যায়ে আছে বলেও উল্লেখ করেন মোদি। ভারত বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে তিনি এ সহযোগিতা জোরদারেরও ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী ভারত। বঙ্গবন্ধুর নামে দিল্লিতে সড়কের নামকরণ করায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ব্রিফিংয়ের আগে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী খুলনা-কলকাতা ট্রেন ও খুলনা-কলকাতা বাস সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এসময় পশ্চিম বঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। এসময় বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইয়ের হিন্দি সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করেন তারা।
বৈঠকের আগে হায়দরাবাদ হাউজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। গত শুক্রবারও বিমানবন্দরে প্রটোকল ভেঙে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন। আর এই ঘটনায় শেখ হাসিনা অভিভুত হয়েছেন বরে জানিয়েছেন। শনিবার শেখ হাসিনার সফরের দ্বিতীয় দিনে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী মোদী আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনাকে সম্বর্ধনা জানিয়েছেন। এরপর তাঁকে গার্ড অব অনার জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবনেই এই সফরে শেখ হাসিনা রয়েছেন। এরপর তিনি রাজঘাটে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্প স্তবক দিয়ে সম্মান জানিয়েছেন। সেখান থেকে আসেন হায়দরাবাদ হাউজে আলোচনার জন্য।
Check Also
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করেননি সমাজী
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক …