ক্রাইমবার্তা রিপোট:বর্তমান দশম জাতীয় সংসদে কোরাম সংকটে মোট ব্যয়িত সময়ের ১২ শতাংশ ছিল। মোট কোরাম সংকটে ৪৮ ঘন্টা ২৬ মিনিট সময় বেশি ব্যয় হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৪৭ কোটি ২০ লাখ ৩৩ হাজার ২০৪ টাকা বলে ট্রান্সপারেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের জরিপে বলা হয়েছে।
জরীপে বলা হয়, বিভিন্ন আলোচনা পর্বে সংসদীয় আচরনবিধি লঙ্ঘন করে এমপিদের অসংসদীয় ভাষার ব্যবহার অব্যাহত রয়েছে। যা মোট ব্যয়িত সময়ের ১৫ শতাংশ। অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার বন্ধে স্পিকারের কার্যকর ভুমিকায় ঘাটতি রয়েছে।
দশম জাতীয় সংসদের কার্যক্রমের উপর আজ বৃহস্পতিবার টিআইবির এক গবেষনা জরীপে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। টিআইবি অফিসে এই প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিআইবি চেয়ারম্যান এডভোকেট সুলতানা কামাল ও নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
জরীপ অনুযায়ী, কমিটিগুলোকে প্রতিমাসে গড়ে একটা করে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও সেটা হয়নি। সংসদের বাইরের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিয়ে ২ হাজার ১০১ বার, সংসদের ভেতরের প্রতিপক্ষকে নিয়ে ৪৩৩ বার বিভিন্ন কটুক্তি, আক্রমণাত্মক শব্দ ও অশ্লীল শব্দের ব্যবহার হচ্ছে। বিধি অনুযায়ী অধিবেশন চলাকালীন গ্যালারিতে শৃঙ্খলা রক্ষা করার ক্ষেত্রে স্পিকারের কার্যকর ভুমিকার ঘাটতি রয়েছে।
টিআইবি বলছে, সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের জন্য সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে হবে। যেখানে দলের বিরুদ্ধে মত বা ভোট এবং বাজেট ছাড়া বাকী সকল সময় মত প্রকাশ ও সমালোচনার বিধান রাখতে হবে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই সংসদকে নবম সংসদের সাথে তুলনা করতে হলে আরো অপেক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, অসংসদীয় ভাষা ও আচরন বন্ধের জন্য বিধি অনুযায়ি স্পিকারকে আরো জোড়ালো ভুমিকা নিতে হবে।
সুলতানা কামাল বলেন, সদস্যরা অসংসদীয় আচরন থেকে বিরত থাকবেন এটা সবার প্রত্যাশা। আর এই সংসদেও সরকারের প্রভাব কমেনি।