ক্রাইমবাতা ডটকম ঃৃ ৯ এপ্রিল ২০১৭, রবিবার, ১:১০
আইসিস নিয়ন্ত্রিত মসুল থেকে পালাতে গিয়ে অকাতরে প্রাণ দিচ্ছে বেসামরিক সাধারণ মানুষ। তাদেরকে হত্যা করে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে অন্যদের ভীতসন্ত্রন্ত করার চেষ্টা করছে আইসিস যাতে তারা পালিয়ে না যায়। এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে ইরাকের মসুলে। সেখানকার এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, তিন ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে মসুলের তেনেক থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তার এক আত্মীয়। তাদেরকে আইসিস হত্যা করেছে। তারপর মৃতদেহ প্রকাশ্য রাস্তায় ঝুলিয়ে দিয়েছে। সেই মৃতদেহে পচন ধরেছে। তিনি আরও বলেন, দেহগুলো এতটাই বীভৎস হয়ে গেছে যে, ‘আমরা তা নামাতে পারি নি’। সেগুলো সেভাবেই আছে। এর আগে গুপ্তচরবৃত্তি, স্বপক্ষত্যাগীদের শাস্তি দেয়ার জন্য এমন প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হতো। সেখানে ক্রুশে চড়িয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর একটি সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে। ওল্ড সিটি হিসেবে পরিচিত মসুলের শাহওয়ানের এক বাসিন্দা বলেছেন, একটি পরিবারের ৬ সদস্যকে হত্যা করেছে জিহাদিরা। এর মধ্যে রয়েছেন প্রবীণ এক নারী। তিনি নিজেও একই পরিণতির হাত থেকে সামান্যর জন্য রক্ষা পেয়েছেন। তিনি বলেন, জিহাদিরা আমার ব্যাগ নিয়ে যায়। তারা ভাবে এর ভিতর স্বর্ণ অথবা নগদ অর্থ আছে। তারা যখন ব্যাগগুলো চেক করতে ব্যস্ত ততক্ষণ আমরা বাড়িঘরের ফাঁক দিয়ে পালিয়ে যাই। তারপর আস্তে আস্তে রাত নেমে আসে। তারা আমাদের ধরতে পারে নি। আমি শঙ্কিত যেসব পরিবার ডায়েশের করাল গ্রাসে বন্দি তাদের পরিণাম ভয়াবহ। ফারুক এলাকার এক অধিবাসী বলেছেন, তার এলাকার ৪০ জনেরও বেশি মানুষ পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। তাদেরকে হত্যা করেছে আইসিসস। তবে কুর্দিস্তান রিজিওন নিরাপত্তা পরিষদের হিসাবে সোমবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪০। বেসামরিক লোকজনকে আইসিস মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তাই তারা পালানোর চেষ্টা করতেই হত্যা করা হয়। ওদিকে গত মাসে মসুলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ২০০ বেসামরিক মানুষ।