ক্রাইমবার্তা রিপোট:বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সাথে নতজানু হয়ে প্রতিরক্ষাবিষয়ক সমঝোতার যে গোলামীর স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশের জনগণ সেটি সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখান করেছে।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয় দল আয়োজিত “৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা চাই দেশ বিরোধী কোনো চুক্তি মানি না” শীর্ষক এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন,বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমতউল্লাহ, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান প্রমুখ।
প্রতিরক্ষাবিষয়ক চুক্তি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, এই চুক্তিতে দেশের সম্মতি নেই। জনগণ এই চুক্তি বাস্তবায়ন হতে দেবে না। আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা নিজেদের মতো সুন্দর করে সাজাবো। ভারত বাংলাদেশের নিরাপত্তাব্যবস্থার ভিতরে ঢুকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই এই চু্ক্তিটি করতে বাধ্য করেছে। গতকালের এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ভারতকে মনে রাখতে হবে তাদের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি বিশেষ একটি রাজনৈতিক দল তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য করেছে। এটি বাংলাদেশ নয়। এটি জনসমর্থনহীন একটি রাজনৈতিক দল।
ভারতের সম্পর্ক বাংলাদেশের জনগণের সাথে নেই আছে শুধু বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের সাথে এমন মন্তব্য করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ভারত তাদের পছন্দের দল পছন্দের শাসককে আজীবন ক্ষমতায় রাখতে চান। যার কারণে তাদেরকে ইচ্ছামত ব্যবহার করছেন। তারা মনে করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা তাদের দয়ার দান। কিন্তু তারা জানে না বাংলাদেশ নেপাল, ভূটান, সিকিম নয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে নিজস্ব স্বকীয়তায়।
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রিজভী বলেন, সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণে জনগণ আজ চারদিক থেকে ফুসে উঠেছে। তারা আর সহ্য করতে পারছে না। আগামী দিনে তারা যেকোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে।