ক্রাইমবার্তা রিপোট:পুরনো গাড়ির বিরুদ্ধে পরিচালিত গত এক মাসের অভিযানে ৭২ জন চালককে কারাদণ্ড, ১৮৮টি মামলা, সাড়ে ২৬ লাখ টাকা জরিমানা ও ৬৫টি বাস-মিনিবাস ডাম্পিংয়ে পাঠিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ডিএসসিসি’র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম চৌধুরী বাসসকে বলেন, পুরনো গাড়ির বিরুদ্ধে ডিএসসিসির অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত এ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত রয়েছে। প্রয়োজনে এই সময় আরো বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কতৃপক্ষ (বিআরটিএ), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় গত ৫ মার্চ থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) রাজধানীতে ২০ বছরের পুরনো গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযানে নামে।
অভিযানে ডিএসসিসির পক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন মামুন সরদার। বিআরটিএ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সালাম, ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষে তৌহিদ এলাহীসহ বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রাথমিকভাবে নগরীর আজিমপুর, গুলিস্তান, মতিঝিল, পল্টন ও পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মার্চ মাসে বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুস সামাদের নেতৃত্বে পৃথকভাবে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ী নানা অপরাধে ১শ’টি গাড়ির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়।
অভিযানে বাসে ভাড়ার তালিকা, অনেক বাসের ফিটনেস ও চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা, লোকালবাসে সিটিং ভাড়া আদায়, নির্ধারিত সিটের চেয়ে অতিরিক্ত সিট বসানো এবং নোংরা লক্কড়ঝক্কড় যানবাহন চালানোসহ নানা কারণে চালকদের কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানাও করা হয়।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নগরভবনে বিআরটিএ, ডিএমপি ও জেলা প্রশাসনের সাথে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এ সিদ্ধান্ত নেন।
১ মার্চ থেকে অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত হলেও ডিএসসিসি মেয়র দেশের বাইরে থাকায় চারদিন পিছিয়ে ৫ মার্চ থেকে অভিযান শুরু হয়।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, ঢাকায় নিবন্ধিত বাস-মিনিবাসের সংখ্যা ৩৮ হাজার ৫০৩টি। এর মধ্যে বাসের সংখ্যা ২৮ হাজার ২৬৪টি ও মিনিবাসের সংখ্যা ১০ হাজার ২৩৯টি। এরমধ্যে ২০ বছরের পুরনো ফিটনেসবিহীন ও লক্কড় ঝক্কড় বাস-মিনিবাসের সংখ্যা চার শতাধিক।