ক্রাইমবার্তা রিপোট:রহিম রেজা, রাজাপুর (ঝালকাঠি) থেকে:ঝালকাঠির রাজাপুরের ১৪ নং নারিকেলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক উত্তম সরকারের বিরুদ্ধে ওই স্কুলের ২য় শ্রেণির শিশু ছাত্র মোঃ সৈকত (৭) কে পিটিয়ে ডান হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার সকালে শিশু সৈকত, তার বড় ভাই শাওন ও তার মা শামসুন্নাহার বেগম শিল্পী রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। সৈকত উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম পান্নার ছেলে। সৈকতের বড় ভাই মোঃ রিফাত আহম্মেদ শাওন স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে দাবি করা হয়, গত ২ এপিল দুপুরে স্কুল ছুটি হলে স্কুলের শিশুরা বাড়িতে যাওয়ার জন্য ছুটোছুটি শুরু করলে সহকারি শিক্ষক উত্তম সরকার স্কুলের পিটি করানোর জন্য বেত দিয়ে শিশুদেরকে এলোপাথারী পিটুনি শুরু করে এতে সৈকত ডান হাত গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং কয়েকজন শিশু আহত হয়। পরে শিশুরা পিটুনীর ভয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে ৪/৫ জন ছাত্র সৈকতের গায়েও পড়লে সৈকতের আঘাতপ্রাপ্ত ডান হাতের কনুর জোড়ার হাড্ডি ভেঙে রক্তাক্ত হয়ে যায়। এ অবস্থায় নিষ্ঠুর শিক্ষক উত্তম সরকার সৈকতকে ধরে নিয়ে পিটিতে দাড় করিয়ে রাখে। পরে সৈকত মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে লাইব্রেরিতে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে এ ঘটনার কারন জানতে চাইলে অভিভাবকদের সাথে শিক্ষক উত্তম সরকার ও শিক্ষক আয়শা বেগম অসৌজন্যমূলক আচরন ও দুর্ব্যবহার করে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে ওই ছাত্রের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি য়ো হচ্ছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ১৪ নং নারিকেলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক উত্তম সরকার দাবি করে জানান, পিটুনীতে হাত ভাঙেনি, পড়ে গিয়ে ভেঙেছে। তাছাড়া বিষয়টি তো মিমাংসা হয়েছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা জানতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কিং ফয়সালকে একাধিক বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। ইউএনও আফরোজা বেগম পারুল জানান, খোঁজ নিয়ে দেখছি, অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Check Also
আশাশুনিতে টঙ্গী ইজতেমায় হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।ঢাকার টঙ্গীত ইজতেমা-মাঠে নিরীহ মুসল্লিদের উপর উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের বর্বরোচিত হামলা ও পরিকল্পিত …