রিপনের ফাঁসি যেকোন সময় : বাড়িতে নিরাপত্তা জোরদার

ক্রাইমবার্তা রিপোট:সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের সহয়োগি ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসেন রিপনের কুলাউড়ার বাড়িতে পুলিশের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির নিকট করা তার প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পর এ নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়।

 

রোববার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে জানান, হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান, তার সহযোগি শরীফ শাহেদুল বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এরপর সন্ধ্া ৬টার দিকে পুলিশের একটি দল কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামে রিপনের বাড়িতে অবস্থান নেয় পুলিশ।
কুলাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনয় ভূষণ রায় জানান, নিরাপত্তার কারণে পুলিশকে সতর্ক রাখা হয়েছে। রিপনের বাড়িতেও পুলিশ অবস্থান করছে।
এর আগে রোববার দুপুরে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি নেতা দেলোয়ার হোসেন রিপনের সঙ্গে কারাগারে দেখা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। শিশু, নারী ও পুরুষসহ প্রায় ১২ জন রিপনের সঙ্গে দেখা করে ২৫ মিনিট কথা বলেন। এসময় রাষ্ট্রপতি তার প্রাণ ভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেয়ার বিষয়টি তাকে জানানো হয়।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ছগির মিয়া জানান, রাষ্ট্রপতি জঙ্গি নেতা দেলোয়ার হোসেন রিপনের প্রানভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন বলে আমরাও শুনেছি। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনও কাগজপত্র এখনও আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। কাগজপত্র পেলে কারা বিধি অনুযায়ী ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেয়া হবে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, রিপনকে সিলেট কেন্দ্রিয় কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। ফাঁসির আদেশ পাওয়ার পর পরই যাতে তা কার্যকর করা যায়, সেজন্য ফাঁসির মঞ্চ ও কারাগারের ৮-১০ জন জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রিপনের পাশাপাশি একই মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও তার সহযোগি শরীফ শাহেদুল বিপুলের প্রাণভিক্ষার আবেদনও নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। ওই দুজন বন্দি আছেন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন পুলিশের এএসআই কামাল উদ্দিন। এছাড়া হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান পুলিশ কনস্টেবল রুবেল আহমেদ ও হাবিল মিয়া নামের আরেক ব্যক্তি। এ ঘটনায় আহত হন আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অন্তত ৪০ জন।

 

Check Also

সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে দুবলার চরে গেলেন ৪০১জন পূণ্যার্থী

উপকূলীয় অঞ্চল (শ্যামনগর): পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে অনুমতি নিয়ে বঙ্গোপসাগরের দুবলার চরে রাস মেলায় গেছেন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।