ক্রাইমবার্তা রিপোট:আলমগীর হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর মিরকপুর এলাকাতে দৈনিক নবচেতনা জেলা প্রতিনিধি সোহেল রানা ও মুক্ত বাংঙ্গালীর প্রতিনিধি রাজীব হোসেন রাজুকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন পুলিশ। স্থানীয়, সোহেল রানা, রাজীব হোসেন রাজুর পরিবারসহ বিভিন্ন সূত্র জানায় বুধবার সন্ধ্যা আকাশ কুরু নামে এক ছাত্রলীগ নেতা রাজীব হোসেন রাজুকে ফোন করে খবর দেয় মিরকপুর এলাকাতে লিটনের স্ত্রী-মমতাজ বেগমের সাথে দীঘ-দিনে দর্ন্ড-সংঘাত চলছে। তাদের বাড়িতে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে নিউস করার কথা বলে । তাৎক্ষনিক রাজীব হোসেন রাজীব নবচেতনার জেলা প্রতিনিধি সোহেল রানা কে সাথে নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে ভাংঙ্খা ইউনিয়নের মিরকপুর গ্রামে যান।
এ সময় লিঠনের স্ত্রী মমতাজ বেগমের বাড়িতে গিলে পূর্ব থেকে স্থানীয় প্রভাব বিস্তার কারীরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে এই দুই তরুন সাংবাদিকে উপর ঝাপিয়ে পড়ার চেষ্টা কালে। তারা প্রভাব বিস্তার কারীদের ছবি তুলতে গেলে তাদের উপর প্রভাব বিস্তার কারীরা অর্তকিত হামলা চালায়। দুই সাংবাদিকের কাছ থেকে মোবাইল ফোনসেট ও ক্যামেরা, ল্যাপটপ,পরিচয় পত্র ,কেড়ে নিয়ে তাদেরকে একটি ঘরে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে নির্যাতন করে আটক করে।
তাৎক্ষণিক খবর দিলে পুলিশ দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় নিয়ে যায়। এ সময় লিঠন ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগমকে আটক করা হয়।রাতে চাঁদা বাজির মামলায় লিঠনকে প্রধান আসামী করে দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করে সদর থানার পুলিশ। গতকাল বৃস্প্রতিবার দুপুরে আদলতে নেওয়া হয়। আদালত শুনানি শেষে তাদের তিন জনকে কারাগারে পাঠানের নিদের্শ দেন। মিথ্যা মামলায় কয়েক দিন যাবত কারাভোগ করছেন তরুন দুই সাংবাদিক। তদন্ত না করে চাঁদা বাজির মামলা দিল থানার ওসি। অপর দিকে সচেতন মহলের একাধিক ব্যাক্তি বলেন সাংবাদিকদের অর্ন্তদ-ে কারনে এই মিথ্যা মামলা । সাংবাদিকেরা আজ ঐক্য বদ্ধ না থাকায় এই প্রতি হিংসার ষড়যন্ত্রের স্বিকার দুই সাংবাদিক।
এর প্রতিবাদে গত শনিবার লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে সামনে সাংবাদিক বৃন্দের উদ্যোগে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। এ সময় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তরুণ দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা পত্যাহার করে নিঃশর্তে মুক্তি দাবী করেন তারা। লক্ষ্মীপুর সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলের উদ্যোগে গত রবিবার স্থানীয় একটি রেষ্টুরেন্ট তাদের মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদসভা হয়।গত বুধবার রাত ৭ টার দিকে সদর উপজেলার ভাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের মিরকপুর এলাকায় স্বামী- স্ত্রীর দন্ডের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাঁদেরকে নির্যাতন করে আটক করে রাখে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এ ঘটনায় তারা মামলা করতে চাইলেও তা নেয়নি পুলিশ। উল্টো বুধবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে বৃস্প্রতিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলের নিন্দা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
Check Also
আশাশুনিতে টঙ্গী ইজতেমায় হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।ঢাকার টঙ্গীত ইজতেমা-মাঠে নিরীহ মুসল্লিদের উপর উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের বর্বরোচিত হামলা ও পরিকল্পিত …