ক্রাইমবার্তা রিপোট:গাজীপুরে কারাবন্দি ফাঁসির আসামি হরকাতুল জিহাদের শীর্ষনেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলের স্বজনদের ডেকেছে কাশিমগার কারাগার কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার সকালে এক বার্তায় তাদের ডেকে পাঠানো হয় বলে জানান গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র সুপার মো. মিজানুর রহমান।
এর আগে রাষ্ট্রপতি তাদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করার পর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার সব প্রস্ততি নিয়ে রেখেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কারা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, কারাগারে জল্লাদ ও ফাঁসির মঞ্চসহ সবকিছু প্রস্তুত আছে।
“চিঠিতে দুইজনের পরিবারকে সাক্ষাতের জন্য ডাকা হয়েছে।” তবে কখন ফাঁসি কার্যকর করা হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলাম বাংলাদেশের (হুজি-বি) শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নান ও শাহেদুল গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় হাই সিকিউরিটি কারাগারে আছেন।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারের প্রধান ফটকে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। ওই হামলায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত, আনোয়ার চৌধুরীসহ ৭০ জন আহত হন। এ ঘটনায় করা মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল, দেলোয়ারকে মৃত্যুদন্ড এবং মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন সিলেটের দ্রুত বিচার আদালত।
গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ওই রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট। আসামিদের আপিল গত ৭ ডিসেম্বর খারিজ করেন আপিল বিভাগ। গত ১৭ জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে ২৩ ফেব্রুয়ারি আসামিরা রিভিউ আবেদন করেন। ১৯ মার্চ ওই আবেদন খারিজ হয়। গত ২১ মার্চ রিভিউ খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করলে তা নাকচ হয়ে যায়।
Check Also
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করেননি সমাজী
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক …