ক্রাইমবার্তা আন্তর্জাতিক ডেস্ক :এয়ারলাইন্সের এক ফ্লাইট থেকে এশীয় এক যাত্রীকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে দেওয়ার একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান পরিবহন সংস্থাটি।
উড়োজাহাজের ভেতর থেকে ধারণ করা করা ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক যাত্রীকে জোর করে তার আসন থেকে তুলে নিয়ে দুই সারি আসনের মাঝ দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
রোববার সন্ধ্যায় শিকাগো বিমানবন্দর থেকে যাত্রী নিয়ে লুইসভিলের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার ঠিক আগে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে বলে বিবিসির খবর।
সমালোচনার মুখে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ এক টুইটে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। তারা বলছে, ওই ঘটনা তারা তদন্ত করে দেখছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ৫০ সেকেন্ডের ওই ভিডিও টুইটারে আসার পর তা রিটুইট করা হয় অন্তত ১৬ হাজার বার।
ওই ভিডিও পোস্ট করে জয়েস ডি আনসপাচ নামের একজন টুইটারে লিখেছেন, ফ্লাইটে যাত্রী নেওয়া হয়েছিল আসনের চেয়ে বেশি। আর ইউনাইটেডের চার কর্মীর পরদিন কাজে যোগ দেওয়ার জন্য যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। তারা চাইছিল, যাত্রীদের মধ্যে চারজন যেন স্বেচ্ছায় নেমে যান।
“কিন্তু কেউ নিজে থেকে নেমে যেতে রাজি না হওয়ায় তারা আমাদের বেছে নেয়। তারা একজন এশীয় চিকিৎসক ও তার স্ত্রীকেও নেমে যেতে বলে। কিন্তু ওই চিকিৎসকের পরদিন হাসপাতালে ডিউটি। তাই তিনিও আপত্তি করেন।
“দশ মিনিট পর ওই চিকিৎসককে রক্তাক্ত অবস্থায় উড়োজাহাজ থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়, তিনি বার বার বলছিলেন, ‘আমার বাড়ি যেতে হবে’।”
অড্রা ডি ব্রিজেস নামের আরেক যাত্রী ফেইসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, “তারা ইচ্ছেমত যাত্রীদের বাছাই করে নিল, যাতে তাদের বের করে দিয়ে নিজেদের কর্মীদের বসাতে পারে। ওই লোকটা একজন ডাক্তার, কাল সকালে তা হাসপাতালে ডিউটিতে থাকার কথা। তাই সে যেতে চাইছিল না।”
শিকাগোর বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই ঘটনায় যে তিন নিরাপত্তা কর্মী জড়িত ছিলেন, তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওই ঘটনা তদন্ত করেও দেখা হবে।